Thursday, February 18, 2021

Post # 1029 Bengali Amarchitra Katha 176

                                                                              ডাউনলোড করুন

মা দুর্গা দূর কৈলাশ ছেড়ে পিতৃগৃহে আসবেন নৌকায়। সনাতন বিশ্বাসে ‘শস্যবৃদ্ধিস্থাজলম’, অর্থ—অতিবৃষ্টি, বন্যা, জলোচ্ছ্বাসে একদিকে প্লাবন হবে, অন্যদিকে শস্য বাড়বে। দেবী প্রস্থান করবেন ঘোটকে। মা দেবীদুর্গার আশীর্বাদে শ্রীরামচন্দ্র রাক্ষসরাজ রাবণকে পরাজিত করার পর সীতাকে উদ্ধার করলেন, সেই থেকে শরৎকালে দুর্গাপূজা হয়ে আসছে। দুর্গা হচ্ছেন তিনি, যিনি জীবের তথা দেবতাদের দুর্গতি নাশ করেন, আবার দুর্গম অসুরকে বধ করেন।

শরৎকালে অর্থাৎ দক্ষিণায়নে সব দেব-দেবীর মতো দেবীদুর্গা বিষ্ণুমায়া নিদ্রিত থাকেন। শারদীয় দুর্গাপূজায় বোধন হচ্ছে নিদ্রিত দেবীকে জাগ্রত করা। শরৎকালে অকাল বোধনের দ্বারা দেবীকে জাগ্রত করা হয় বলে দুর্গার অপর নাম শারদীয়া। শরৎকালে এই দুর্গাপূজা হয়, তাই তাকে শারদীয় দুর্গাপূজা বলা হয়।

চণ্ডীর বর্ণনা অনুযায়ী, দুর্গম নামক অসুরকে বধ করায় দেবী মায়ের নাম হয়েছে দুর্গা। দুর্গম অসুরের কাজ ছিল জীবকে দুর্গতিতে ফেলা। দুর্গমকে বধ করে যিনি স্বর্গ থেকে বিতাড়িত দেবগণকে হৃতরাজ্যে ফিরিয়ে দেন এবং দুর্গতির হাত থেকে জীবকে রক্ষা করেন, তিনিই মা দুর্গা। দেবীর ডানে লক্ষ্মী ও গণেশ, বামে সরস্বতী ও কার্তিক। দুর্গা শব্দের অর্থ যিনি জীবের দুর্গতি হনন করেন। আরেকটি অর্থ দুর্জয়া।

 রাজ্যভ্রষ্ট রাজা যুধিষ্ঠির বিপদ থেকে মুক্তিলাভ করার জন্য মা দুর্গার আরাধনা করেছিলেন বলে মহাভারতের বিরাট পর্বের ২৪ অধ্যায়ে উল্লেখ আছে। দুর্গা শক্তিদায়িনী। যুগে যুগে বিভিন্ন সংকটের সময় তিনি মর্ত্যধামে আবির্ভূত হয়েছিলেন বিভিন্ন রূপে, বিভিন্ন নামে। তিনি তাই আদ্যশক্তি মহামায়া, ব্রহ্মসনাতনী। দুর্গা, মহিষমর্দিনী, শলিনী, পার্বতী, কালিকা, ভারতী, অম্বিকা, গিরিজা, বৈষ্ণবী, কৌমারী, বাহারী, চণ্ডী, লক্ষ্মী, উমা, হৈমবর্তী, কমলা, শিবানী, যোগনিন্দা প্রভৃতি নামে ও রূপে মায়ের পূজা হয়ে থাকে।

ত্রিনয়নী মহাদেবী দুষ্টের দমনে শিষ্টের পালনে আবির্ভূত হন। এ পূজার মূর্তি কল্পনায় ফুটে ওঠে শৌর্য-বীর্য (কার্তিক), জ্ঞানভক্তি (সরস্বতী), সিদ্ধি (গণেশ), সম্পদ (লক্ষ্মী), মানবজীবনের ইহকালের বস্তুলাভ এবং অন্তিমকালে মাতৃক্রোড়ে চির আশ্রয়। আর মায়ের পদতলে মহিষাসুর অশুভ এবং অহংকারের প্রতীক, যা জগতের অমঙ্গলের হেতু। তাকে আবার শাসন করছেন স্বয়ং দেবী, যিনি কল্যাণময়ী বরাভয়দায়িনী হিসেবে জগতের কল্যাণ করে আসছেন।

পূজার ষষ্ঠীতে দেবীর ষষ্ঠাদিকল্প অর্থাৎ আবাহন, বোধন, আমন্ত্রণ, অধিবাস প্রভৃতি অনুষ্ঠান হয়ে থাকে। ষষ্ঠীতে সন্ধ্যাকালে দেবীর বোধন হয়। পুরোনো শাস্ত্রমতে, দেবীর বোধন হয় বিল্ববৃক্ষে বা বিল্বশাখায়। অন্যদিকে সপ্তমী থেকে নবমী পর্যন্ত প্রতিমায় দেবীর অর্চনা করা হয়ে থাকে। পূজার অষ্টমীতে বিশেষ অনুষ্ঠান অষ্টমী ও নবমী তিথির সন্ধিতে দেবীর বিশেষ পূজা ‘সন্ধিপূজা’। অষ্টমী তিথিতে কুমারী বালিকাকে পূজা করা হয়। দক্ষিণ ভারতে কন্যাকুমারী মন্দিরের কুমারী প্রতিমা পূজা দেবীদুর্গারই ঐতিহ্য বহন করে। ১৯০১ সালের ১৮ অক্টোবর স্বামী বিবেকানন্দ বেলুড় মঠে প্রথম দুর্গাপূজায় কুমারীপূজা করেছিলেন।

কুমারীপূজা মাতৃভাবে ঈশ্বরেরই আরাধনা। কুমারী কন্যাকে জীবন্ত প্রতিমা করে জগজ্জননীর উদ্দেশে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। দুর্গাপূজার অষ্টমী বা নবমীতে সাধারণত পাঁচ থেকে সাত বছরের একটি কুমারীকে প্রতিমার পাশে বসিয়ে দেবীজ্ঞানে পূজা করা হয়। দুর্গাজ্ঞানে পূজা করে সবার মধ্যে মাতৃভাবেরই সঞ্চার করা হয়। প্রায় সর্বজাতিয়া কন্যাকেই কুমারীরূপে পূজা করা হয়। তবে স্বত্বগুণসম্পন্না—শান্ত, পবিত্র, সত্যশীলা ও দৈব সম্পদের অধিকারিণী কুমারীকেই জগজ্জননীর প্রতিমারূপে গ্রহণের বিধি আছে। পাখি যেমন একটি ডানায় উড়তে পারে না, সমাজও তেমনি শুধু পুরুষশক্তি দ্বারা চলতে পারে না। কুমারীপূজা নারীকে মূল্যায়নের একটি সর্বোচ্চ শাস্ত্রীয় বিধি।

নবমীতে হোমযজ্ঞের দ্বারা পূজার পূর্ণহূতি দেওয়ার রীতি আছে। দুর্গাপূজায় দশমী তিথিতে হয় দেবীর বিসর্জন। পূজায় দশমী তিথি বিজয়া দশমী নামে খ্যাত। হিন্দুদের প্রচলিত বিশ্বাস অনুসারে এই দিনে শ্রীরামচন্দ্র কর্তৃক রাবণ নিহত হয়েছিলেন।

একই কারণে স্বর্গ-মর্ত্যে দুর্দিনে দুর্গতিনাশিনী দুর্গার আবির্ভাব হয়েছিল। সব দেবতার সম্মিলিত তেজ সৃষ্টি করেছিল মহামায়াকে। আবার সেই শক্তিতে বলীয়ান হয়েই দেবী চণ্ডী অশুভকে বিনাশ করে স্বর্গ-মর্ত্যে ন্যায় আর শান্তি প্রতিষ্ঠা করে ধর্মের অন্তর্নিহিত অর্থকেই আবার ঊর্ধ্বে তুলে ধরেছিলেন। প্রতিবছর মা আসেন, ভক্তের পূজা নিয়ে আবার ফিরেও যান কৈলাশে। শরতের কাশবনে যখন ফুলের শুভ্রতা, সনাতন বাঙালিরা তখন প্রস্তুতি নেয় মা দুর্গাকে মর্ত্যে বরণ করার জন্য। মায়ের আগমনে সন্তানের আনন্দ। শ্রীশ্রী দুর্গাপূজার মূল মন্ত্র হচ্ছে:

‘যা দেবী সর্বভুতেষু শক্তিরূপেণ সংস্থিতা।

নমস্তস্যৈ নমস্তস্যৈ নমস্তস্যৈ নমো নমঃ।

যা দেবী সর্বভুতেষু মাতৃরূপেণ সংস্থিতা

নমস্তস্যৈ নমস্তস্যৈ নমস্তস্যৈ নমো নমঃ।

তৈত্তেরীয় আরণ্যকে প্রথম দুর্গা শব্দের উল্লেখ পাওয়া যায়। সেদিক থেকে দেখতে গেলে শব্দটা যে একটি প্রাচীন...

Read more at: https://bangla.asianetnews.com/life/the-reality-behind-devi-durga-py2bs3
তৈত্তেরীয় আরণ্যকে প্রথম দুর্গা শব্দের উল্লেখ পাওয়া যায়। সেদিক থেকে দেখতে গেলে শব্দটা যে একটি প্রাচীন...

Read more at: https://bangla.asianetnews.com/life/the-reality-behind-devi-durga-py2bs3
তৈত্তেরীয় আরণ্যকে প্রথম দুর্গা শব্দের উল্লেখ পাওয়া যায়। সেদিক থেকে দেখতে গেলে শব্দটা যে একটি প্রাচীন...

Read more at: https://bangla.asianetnews.com/life/the-reality-behind-devi-durga-py2bs3

মা দুর্গার ১০৮ নাম


(১) সতী,
(২) সাধ্বী,
(৩) ভবপ্রীতা,
(৪) ভবানী,
(৫)ভবমোচনী,
(৬) আর্য্যা,
(৭) দুর্গা,
(৮) জয়া,
(৯)আদ্যা
(১০) ত্রিনেত্রা,
(১১) শূলধারিণী,
(১২)পিনাকধারিণী,
(১৩) চিত্রা,
(১৪) চন্দ্রঘণ্টা,
(১৫) মহাতপা,
(১৬) মনঃ,
(১৭) বুদ্ধি,
(১৮) অহঙ্কারা,
(১৯) চিত্তরূপা,
(২০) চিতা,
(২১) চিতি,
(২২) সর্বমন্ত্রময়ী,
(২৩) নিত্যা,
(২৪) সত্যানন্দস্বরূপিণী,
(২৫) অনন্তা,
(২৬) ভাবিনী,
(২৭) ভাব্যা,
(২৮) ভব্যা,
(২৯) অভব্যা,
(৩০) সদাগতি,
(৩১) শাম্ভবী, .
(৩২) দেবমাতা, .
(৩৩) চিন্তা, .
(৩৪) রত্নপ্রিয়া, .
(৩৫) সর্ববিদ্যা, .
(৩৬) দক্ষকন্যা, .
(৩৭) দক্ষযজ্ঞবিনাশিনী, .
(৩৮) অপর্ণা, .
(৩৯) অনেকবর্ণা, .
(৪০) পাটলা, .
(৪১) পাটলাবতী, .
(৪২) পট্টাম্বরপরিধানা, .
(৪৩) কলমঞ্জীররঞ্জিনী, .
(৪৪) অমেয়বিক্রমা, .
(৪৫) ক্রূরা, .
(৪৬) সুন্দরী, .
(৪৭) সুরসুন্দরী, .
(৪৮) বনদুর্গা, .
(৪৯) মাতঙ্গী, 

(৫০) মতঙ্গমুনিপূজিতা, .
(৫১) ব্রাহ্মী, .
(৫২) মাহেশ্বরী, .
(৫৩) ঐন্দ্রী, .
(৫৪) কৌমারী, .
(৫৫) বৈষ্ণবী, .
(৫৬) চামুণ্ডা, .
(৫৭) বারাহী, .
(৫৮) লক্ষ্মী, .
(৫৯) পুরুষাকৃতি, .
(৬০) বিমলা, .
(৬১)উত্‍কর্ষিণী, .
(৬২) জ্ঞানা, .
(৬৩) ক্রিয়া, .
(৬৪) সত্যা, .
(৬৫) বুদ্ধিদা, .
(৬৬) বহুলা, .
(৬৭) বহুলপ্রেমা, .
(৬৮) সর্ববাহনবাহনা, .
(৬৯) নিশুম্ভনিশুম্ভহননী, .
(৭০)মহিষাসুরমর্দিনী, .
(৭১) মধুকৈটভহন্ত্রী, .
(৭২) চণ্ডমুণ্ডবিনাশিনী, .
(৭৩) সর্বাসুরবিনাশা, .
(৭৪) সর্বদানবঘাতিনী, .
(৭৫) সর্বশাস্ত্রময়ী, .
(৭৬) সত্যা, .
(৭৭) সর্বাস্ত্রধারিণী, .
(৭৮) অনেকশস্ত্রহস্তা, .
(৭৯) অনেকাস্ত্রধারিণী, .
(৮০) কুমারী, .
(৮১) কন্যা, .
(৮২) কৈশোরী, .
(৮৩) যুবতী, .
(৮৪) যতি, .
(৮৫) অপ্রৌঢ়া, .
(৮৬) প্রৌঢ়া, .
(৮৭) বৃদ্ধমাতা, .
(৮৮) বলপ্রদা, .
(৮৯) মহোদরী, .
(৯০) মুক্তকেশী, .
(৯১) ঘোররূপা, .
(৯২) মহাবলা, .
(৯৩) অগ্নিজ্বালা, .
(৯৪) রৌদ্রমুখী, .
(৯৫) কালরাত্রি, .
(৯৬) তপস্বিনী, .
(৯৭) নারায়ণী, .
(৯৮) ভদ্রকালী, .
(৯৯) বিষ্ণুমায়া, .
(১০০) জলোদরী, .
(১০১) শিবদূতী, .
(১০২) করালী, .
(১০৩) অনন্তা, .
(১০৪) পরমেশ্বরী, .
(১০৫) কাত্যায়নী, .
(১০৬) সাবিত্রী, .
(১০৭) প্রত্যক্ষা এবং .
(১০৮) ব্রহ্মবাদিনী .







 

3 comments:

  1. দূর্গা কর্তৃক মহিষাসুর বধ সত্যিই চমৎকার।

    ReplyDelete