আম্রপালি
বৈশালী (প্রাচীন শহর)-এ আম্রপালি নামের একজন নারী নৃত্যশিল্পী ছিলেন। বৈশালী শহরটি এখন বিহার রাজ্য-এর অন্তর্গত এবং আম্রপালি খ্রিষ্টপূর্ব ৫০০ বছর আগে জন্মগ্রহণ করেছিলেন।মগধের রাজা অজাতশত্রুর রাজকীয় দরবারে আম্রপালি নাচতেন, এবং তার নাচে মুগ্ধ হতেন মগধ রাজা। বৌদ্ধ ধর্মের পালি লিপিতেও আম্রপালির কথা উল্লেখ রয়েছে তবে আম্রপালির মূল বর্ণনা হিন্দু পুরাণেই পাওয়া যায়, আর বৌদ্ধ ধর্মে আম্রপালিকে 'আম্বপালি' নামেও ডাকা হত।
১৯৬৬ সালে ভারতে হিন্দি ভাষার একটি চলচ্চিত্র মুক্তি পায় যার নাম ছিলো 'আম্রপালি' এবং চলচ্চিত্রটি এই প্রাচীন নারীর চরিত্র নিয়েই নির্মিত ছিলো এবং চলচ্চিত্রটির পরিচালক ছিলেন লেখ ট্যান্ডন, ১৯৬০-এর দশকের খ্যাতিমান হিন্দি চলচ্চিত্র অভিনেত্রী বৈজয়ন্তীমালা ছিলেন আম্রপালি চরিত্রে।২০০২ সালে দূরদর্শন চ্যানেলে আম্রপালি নামের একটি ধারাবাহিক নাটক প্রচারিত হত।
উপগুপ্ত
খ্রিস্টপূর্ব তৃতীয় শতাব্দীর একজন বৌদ্ধ ভিক্ষু ছিলেন। অশোকাবদান গ্রন্থানুসারে, তিনি মৌর্য্য সম্রাট অশোকের আধ্যাত্মিক শিক্ষক ছিলেন,রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তার অভিসার নামক কবিতাটি উপগুপ্তের কাহিনীর ওপর নির্ভর করে তৈরী করেছেন। এই কবিতায় দেখা যায়, শ্রাবণ মাসের একদিন উপগুপ্ত মথুরা নগরীতে ঘুমোচ্ছিলেন, এমন সময় বাসবদত্তা নামক এক রাজনর্তকী তাকে লক্ষ্য করেন। উপগুপ্তের সুন্দর চেহারায় মুগ্ধ হয়ে বাসবদত্তা তাকে তার গৃহে আমন্ত্রণ জানান। কিন্তু ভিক্ষু উপগুপ্ত তার অণুরোধ প্রত্যাখান করেন। সাত মাস পরে, চৈত্র মাসে নগরবাসীরা বনে উৎসব পালনে গেলে উপগুপ্ত সেই জনশূন্য নগরীর শেষ প্রান্তে রোগগ্রস্ত ও কদাকার অবস্থায় বাসবদত্তাকে দেখতে পান। মথুরা নগরীর অধিবাসীরা বাসবদত্তাকে শহর থেকে তাড়িয়ে দিয়েছিলেন। ভিক্ষু উপগুপ্ত তাকে যত্ন করে সুস্থ করেন এবং একসঙ্গে বসবাস শুরু করেন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর দশম-একাদশ শতাব্দীর কাশ্মীরি কবি ক্ষেমেন্দ্র রচিত বোধিসত্ত্বাবদানকল্পলতা নামক গ্রন্থ থেকে এই কাহিনী গ্রহণ করেছিলেন।
Khub sundar aaka ebong lekha.
ReplyDeleteঅলংকরণ দেখবার মতো।
Delete