Saturday, January 2, 2021

Post # 1009 Bengali Amarchitra Katha 101

                                                                         ডাউনলোড করুন

 

রামায়ন ও মহাভারত দুটি মহাকাব্য, অমরচিত্র কথায় এই দুটি মহাকাব্য থেকে প্রচুর কমিকস্‌ রয়েছে... বিশ্বাস করা না করা সম্পূর্ণ পাঠকের ব্যাক্তিগত ব্যাপার...

রামায়ণের পুস্তক কিষকিনধা কান্ডের ৬৬ টি অধ্যায়ের মধ্যে ৫-২৬ অধ্যায়  পর্যন্ত বালির বর্ণনা করা হয়েছে। বলি সুগ্রীবের দাদা এবং কিষকিনধার রাজা ছিল। এক বিশেষ বরদানের জন্য বলি যার সাথেই লড়াই করতো তার অর্ধেক শক্তি বালির কাছে চলে আসতো। ফলে শত্রু দুর্বল হয়ে হারের সম্মুখীন হতো। এই বিশেষ শক্তির কারণে বালি ১০০০ হাতির শক্তি সম্পন্ন দুদম্ভী নামক অসুরের বধ করেছিল। দুদম্ভীর পর বালি দুদম্ভীর ভাই মায়াবী নামক অসুরের বধ করেছিল। এই ঘটনার পর থেকে বলি ও সুগ্রীবের মধ্যে শত্রুতা তৈরি হয়েছিল। অদ্ভুত শক্তি থাকার কারণে বনরাজ বালির সাথে দেব,দানব, মানব কেউ যুদ্ধ করারসাহসপেত না।

কিন্তু একবার বনরাজ বালি ও মহাবলী হনুমান মুখোমুখি হয়েছিলেন। আসলে বালি একবার পরম শিবভক্ত রাবনকে হারিয়ে প্রচন্ড খ্যাতি অর্জন করেছিল। সেই থেকে বালির মধ্যে প্রচন্ড অহংকার উৎপন্ন হয়েছিল। অহংকারে সে এদিক ওদিক লোকজনকে যুদ্ধের জন্য হুঙ্কার দিত। একবার বনের মধ্যে বালি চিৎকার করছিল  এবং বলছিল কার সাহস আছে আমার সাথে যুদ্ধ করার সামনে আয়।

সেই সময় মহাবলী হনুমান ওই বনের মধ্যে তপস্যা করছিলেন। বালির চিৎকারে মহাবলী হনুমানের তপস্যায় ব্যাঘাত ঘটে। হনুমান, বালিকে বলেন – “হে বানররাজ (প্রসঙ্গত, বানর শব্দের অর্থ যে নর বনে বাস করেন, বানর ও বাঁদর সম্পূর্ণ আলাদা) আপনি অতি বলশালী আপনাকে কেউ হারাতে পারবে না। কিন্তু আপনি এমনবাবে চিৎকার কেন করছেন?” মহাবলী হনুমানের এই প্রশ্নে অহংকারী বালি রেগে গিয়ে যুদ্ধের জন্য হুঙ্কার দেয়। বালি বলেন, হনুমান তুমি তো দূর তোমার ভগবান রাম এলেও আমাকে হারাতে পারবে না

বনরাজ বালি ভগবান রামের মজা উড়ানোর কারণে মহাবলী হনুমান ক্রোধিত হয়ে উঠেন। মহাবলী হনুমান, বালির হুঙ্কার স্বীকার করে নেয় এবং সিদ্ধান্ত হয় যে পরের দিন যুদ্ধ হবে। পরের দিন সকালে মহাবলী হনুমান যুদ্ধের জন্য বেরোচ্ছিল সেই সময় ব্রহ্মা দেব প্রকট হয়ে যুদ্ধ না করার জন্য অনুরোধ করেন। মহাবলী হনুমান বলেন, “বলি আমার প্রভু শ্রী রামের মজা উড়িয়েছে। আমি যদি বালিকে শিক্ষা না দি তাহলে সমাজ কি বলবে?” ব্রহ্মা দেব, মহাবলী হনুমানকে বলেন ঠিক আছে আপনি যুদ্ধে যান কিন্তু আপনার শক্তির ১০% নিয়ে যান। যুদ্ধ থেকে ফিরে এসে বাকি শক্তি অর্জন করে নেবেন। এই শর্তে মহাবলী হনুমান রাজি হয়ে যান এবং সেই মতো নিজের শক্তির ১০% নিজে যুদ্ধে যান।

বালি ও হনুমানের যুদ্ধ শুরু হতেই বালির অদ্ভুত শক্তির কারণে মহাবলী হনুমানের অর্ধেক শক্তি বালির দেহে যেতে থাকে। এর ফলে বালির শরীরে উথাল পাতাল ঘটতে শুরু হয়। বালির মনে হলো যেন শক্তির কোনো সমুদ্র তার মধ্যে প্রবেশ করছে। বালি, মহাবলী হনুমানের শক্তিকে নিয়ন্ত্রণ করতে অসমর্থ হয়ে পড়ে। বালি মনে করে যে তার শরীর ফেটে পড়বে এবং ধমনী ছিঁড়ে যাবে। সেই মুহূর্তে ব্রহ্মা দেব প্রকট হয়ে বলেন, বালি আপনি নিজেকে সবথেকে শক্তিশালী মনে করেন। কিন্তু আপনার শরীর হনুমানের সামান্য কিছু শক্তিও সামলাতে পারছে না। ব্রহ্মা দেব বলেন, যদি নিজেকে বাঁচাতে চাও তাহলে হনুমানের সামনে থেকে পালাও। বালি ঠিক তাই করে, সে হনুমানের ক্রোধ থেকে নিজেকে রক্ষা করতে পলায়ন করে। বালি নিজের ভুল বুঝতে পেরে দূর থেকে মহাবলী হনুমানের কাছে ক্ষমা চাইলেন ।

তথ্য সূত্র   https://bangla.indiarag.com 


                                                 সংখ্যা ১০০ , বাংলায় দেখিনি আমি ।






 

4 comments: