ডাউনলোড করুন
২৮ এর পর ৩২ পোস্ট করতে হোল... ২৯ ''হর- পার্বতী'' এখন পর্যন্ত পুরানো প্রিন্ট নেই আর ''বাসবদত্তা'' ও ''সুদামা'' বাংলায় প্রকাশিত হয়েছে কি না কোন তথ্য নেই ...।
২ জানুয়ারি, গুরু গোবিন্দ সিংহ জয়ন্তী। এটি শিখ সম্প্রদায়ের অন্যতম
গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠান। গুরু গোবিন্দ সিংহ জী ছিলেন শিখধর্মের দশম গুরু,
তাঁর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে এই দিনটি উদযাপিত হয়। বর্তমান ভারতের বিহার
রাজ্যের পাটনা শহরে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। শিখ সম্প্রদায়ের মানুষরা এই দিনে
তাদের পবিত্র জায়গা, গুরুদ্বার যান এবং প্রার্থনা করেন। সেখানে বিশাল
সমাবেশ হয় এবং ভক্তিমূলক গান হয়।
গুরু
গোবিন্দ সিংহ -এর জীবন এবং শিক্ষাগুলি শিখ সম্প্রদায়ের প্রত্যেক মানুষের
কাছে অনুপ্রেরণা। তিনি সামাজিক সাম্যকে সমর্থন করেছিলেন এবং অত্যাচারের
বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছিলেন। গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, গুরু গোবিন্দ
সিংহ জয়ন্তী প্রতি বছর ডিসেম্বর বা জানুয়ারিতে পড়ে। তবে, উৎসব উদযাপন হয়
নানকশাহী বর্ষপঞ্জি অনুসারে। এইবছর অর্থাৎ, ২০২০ সালে ২ জানুয়ারি এই দিবস
পালিত হচ্ছে।
আজ তাঁর জন্মবার্ষিকীতে এখানে গুরু গোবিন্দ সিংহ সম্পর্কে কিছু তথ্য দেওয়া হল -
১) ১৬৬৬ সালে গুরু গোবিন্দ সিংহ বিহারের পাটনায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তখন তাঁর নাম ছিল গোবিন্দ রাই। তাঁর পিতা ছিলেন গুরু তেগ বাহাদুর ও মা ছিলেন মাতা গুজরি।
২) মুঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেবের আদেশে গুরু গোবিন্দ সিংহ- এর পিতা অর্থাৎ শিখদের নবম গুরু, গুরু তেগ বাহাদুরের শিরচ্ছেদ-এর পর মাত্র নয় বছর বয়সে গুরু গোবিন্দ সিংহ-কে শিখ সম্প্রদায়ের দশম গুরু করা হয়।
৩) শৈশবকালে, গুরু গোবিন্দ সিংহ বেশ কয়েকটি ভাষা শিখেছিলেন, যেমন - সংস্কৃত, গুরুমুখী, হিন্দি, ব্রজ, উর্দু, ফারসি, ইত্যাদি।
৪) একজন ভাল ও শক্তিশালী যোদ্ধা হওয়ার জন্য তিনি মার্শাল আর্ট শিখেছিলেন।
৫) পরে, তিনি তাঁর বাসস্থান পাঞ্জাবের আনন্দপুর সাহিব ছেড়ে সিরমুরের রাজা মাত প্রকাশের আমন্ত্রণে হিমাচল প্রদেশের নাহান-এ চলে যান।
৬) পাওন্তা সাহিব নামক একটি গুরুদ্বার, গুরু গোবিন্দ সিং প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
৭) ১৬৮৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে, মাত্র ১৯ বছর বয়সে গুরু গোবিন্দ সিংহ শিবলিক পাহাড়ে ভীম চাঁদ, গারওয়ালের রাজা ফতেহ খান এবং অনেক স্থানীয় রাজাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছিলেন। যুদ্ধটি কেবল একদিন স্থায়ী হয়েছিল এবং গুরু গোবিন্দ সিং বিজয়ী হয়েছিলেন।
৮) ১৬৯৯ সালে তিনি খালসা সম্প্রদায় প্রতিষ্ঠা করেন। এরপরেই তিনি তাঁর সমস্ত অনুসারীদের নাম দিয়েছিলেন 'সিংহ'। খালসার প্রথম পাঁচ সদস্যকে তিনি নাম দেন পাঁচ প্যায়ারে।
বিখ্যাত পঞ্চ 'ক'বা শিখদের নীতি ওই একই দিনে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এই পাঁচটি 'ক' হল - কেশ (চুল), কাঙ্গা (কাঠের চিরুনি), কারা (লোহার বালা), কাচ্চা (হাঁটুর দৈর্ঘ্যের দড়ি বাঁধা বস্ত্র) এবং কৃপাণ (তরোয়াল)। খালসা সম্প্রদায় মূলত শিখ সম্প্রদায় তবে, এর মূল লক্ষ্য ছিল সমাজের নিরীহ ও দুর্বল অংশকে অত্যাচার থেকে রক্ষা করা।
৯) তিনি গুরু গ্রন্থ সাহেব প্রবর্তন করেন। এর মধ্যে গুরু গোবিন্দ সিংহের সমস্ত শিক্ষা রয়েছে।
১০) ঔরঙ্গজেব কর্তৃক নিয়মিত দ্বন্দ্ব ও নির্যাতনের পরে, গুরু তাঁকে ফারসি ভাষায় একটি চিঠি লিখেছিলেন যেখানে, শিখ সম্প্রদায়ের উপর মুঘলদের হিংস্র, অমানবিক ও অপকর্মের কথা তুলে ধরা হয়েছিল। সেই চিঠিটি এখন জাফরনামা বা বিজয়ের চিঠি নামে খ্যাত।
১১) ঔরঙ্গজেব মারা যাওয়ার পরে এবং বাহাদুর শাহ সিংহাসনে আরোহণের পরে, শিখ সম্প্রদায়ের সাথে শাহ বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ করেন এবং গুরুকে 'হিন্দ কা পীর' উপাধি দেন। তবে, শাহ-কে নবাব ওয়াজির খান প্ররোচিত করেছিলেন গুরু গোবিন্দ সিংহ-কে হত্যা করতে।
১২) ফলস্বরূপ, ১৭০৭ সালে, দুই আক্রমণকারী জামশেদ খান এবং ওয়াসিল বেগ-কে প্রেরণ করা হয়েছিল ঘুমন্ত অবস্থায় গুরুকে হত্যা করার জন্য। তারা ঘুমন্ত অবস্থায় গুরুকে ছুরিকাঘাত করে। তবে গুরু লড়াই করেন এবং আক্রমণকারীরা নিহত হন।
১৩) ১৭০৮ সালের ৭ অক্টোবর গুরু গোবিন্দ সিংহ- এর মৃত্যু হয়।
১৪) গুরু গোবিন্দ সিংহ কেবল অবিচার ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছেন।
১৫) তিনি শিল্পকলা প্রেমিক ছিলেন এবং অনেকগুলি কবিতাও রচনা করেছিলেন।
১৬) তিনি গোটা খালসা ও শিখ সম্প্রদায়কে নিজের সন্তান হিসেবে বিবেচনা করতেন।
গুরু গোবিন্দ সিংহ ছিলেন একজন যোদ্ধা, কবি, আধ্যাত্মিক শিক্ষক এবং দার্শনিক। ধর্মীয় শাস্ত্রের মাধ্যমে, তিনি তাঁর জ্ঞানের মধ্যে দিয়ে তাঁর সম্প্রদায়ের মানুষদের কাছে পৌঁছেছিলেন। তাঁকে স্মরণে রাখতে, প্রতি বছর শিখ সম্প্রদায়ের মানুষরা তাঁর জন্মবার্ষিকী অত্যন্ত উদ্দীপনার সহিত উদযাপন করে। এইদিন সবাই মানবজাতির কল্যাণ ও সমৃদ্ধির জন্য প্রার্থনা করে।
তথ্য সূত্র bengali.boldsky.com
২৮ এর পর ৩২ পোস্ট করতে হোল... ২৯ ''হর- পার্বতী'' এখন পর্যন্ত পুরানো প্রিন্ট নেই আর ''বাসবদত্তা'' ও ''সুদামা'' বাংলায় প্রকাশিত হয়েছে কি না কোন তথ্য নেই ...।
আজ তাঁর জন্মবার্ষিকীতে এখানে গুরু গোবিন্দ সিংহ সম্পর্কে কিছু তথ্য দেওয়া হল -
১) ১৬৬৬ সালে গুরু গোবিন্দ সিংহ বিহারের পাটনায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তখন তাঁর নাম ছিল গোবিন্দ রাই। তাঁর পিতা ছিলেন গুরু তেগ বাহাদুর ও মা ছিলেন মাতা গুজরি।
২) মুঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেবের আদেশে গুরু গোবিন্দ সিংহ- এর পিতা অর্থাৎ শিখদের নবম গুরু, গুরু তেগ বাহাদুরের শিরচ্ছেদ-এর পর মাত্র নয় বছর বয়সে গুরু গোবিন্দ সিংহ-কে শিখ সম্প্রদায়ের দশম গুরু করা হয়।
৩) শৈশবকালে, গুরু গোবিন্দ সিংহ বেশ কয়েকটি ভাষা শিখেছিলেন, যেমন - সংস্কৃত, গুরুমুখী, হিন্দি, ব্রজ, উর্দু, ফারসি, ইত্যাদি।
৪) একজন ভাল ও শক্তিশালী যোদ্ধা হওয়ার জন্য তিনি মার্শাল আর্ট শিখেছিলেন।
৫) পরে, তিনি তাঁর বাসস্থান পাঞ্জাবের আনন্দপুর সাহিব ছেড়ে সিরমুরের রাজা মাত প্রকাশের আমন্ত্রণে হিমাচল প্রদেশের নাহান-এ চলে যান।
৬) পাওন্তা সাহিব নামক একটি গুরুদ্বার, গুরু গোবিন্দ সিং প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
৭) ১৬৮৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে, মাত্র ১৯ বছর বয়সে গুরু গোবিন্দ সিংহ শিবলিক পাহাড়ে ভীম চাঁদ, গারওয়ালের রাজা ফতেহ খান এবং অনেক স্থানীয় রাজাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছিলেন। যুদ্ধটি কেবল একদিন স্থায়ী হয়েছিল এবং গুরু গোবিন্দ সিং বিজয়ী হয়েছিলেন।
৮) ১৬৯৯ সালে তিনি খালসা সম্প্রদায় প্রতিষ্ঠা করেন। এরপরেই তিনি তাঁর সমস্ত অনুসারীদের নাম দিয়েছিলেন 'সিংহ'। খালসার প্রথম পাঁচ সদস্যকে তিনি নাম দেন পাঁচ প্যায়ারে।
বিখ্যাত পঞ্চ 'ক'বা শিখদের নীতি ওই একই দিনে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এই পাঁচটি 'ক' হল - কেশ (চুল), কাঙ্গা (কাঠের চিরুনি), কারা (লোহার বালা), কাচ্চা (হাঁটুর দৈর্ঘ্যের দড়ি বাঁধা বস্ত্র) এবং কৃপাণ (তরোয়াল)। খালসা সম্প্রদায় মূলত শিখ সম্প্রদায় তবে, এর মূল লক্ষ্য ছিল সমাজের নিরীহ ও দুর্বল অংশকে অত্যাচার থেকে রক্ষা করা।
৯) তিনি গুরু গ্রন্থ সাহেব প্রবর্তন করেন। এর মধ্যে গুরু গোবিন্দ সিংহের সমস্ত শিক্ষা রয়েছে।
১০) ঔরঙ্গজেব কর্তৃক নিয়মিত দ্বন্দ্ব ও নির্যাতনের পরে, গুরু তাঁকে ফারসি ভাষায় একটি চিঠি লিখেছিলেন যেখানে, শিখ সম্প্রদায়ের উপর মুঘলদের হিংস্র, অমানবিক ও অপকর্মের কথা তুলে ধরা হয়েছিল। সেই চিঠিটি এখন জাফরনামা বা বিজয়ের চিঠি নামে খ্যাত।
১১) ঔরঙ্গজেব মারা যাওয়ার পরে এবং বাহাদুর শাহ সিংহাসনে আরোহণের পরে, শিখ সম্প্রদায়ের সাথে শাহ বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ করেন এবং গুরুকে 'হিন্দ কা পীর' উপাধি দেন। তবে, শাহ-কে নবাব ওয়াজির খান প্ররোচিত করেছিলেন গুরু গোবিন্দ সিংহ-কে হত্যা করতে।
১২) ফলস্বরূপ, ১৭০৭ সালে, দুই আক্রমণকারী জামশেদ খান এবং ওয়াসিল বেগ-কে প্রেরণ করা হয়েছিল ঘুমন্ত অবস্থায় গুরুকে হত্যা করার জন্য। তারা ঘুমন্ত অবস্থায় গুরুকে ছুরিকাঘাত করে। তবে গুরু লড়াই করেন এবং আক্রমণকারীরা নিহত হন।
১৩) ১৭০৮ সালের ৭ অক্টোবর গুরু গোবিন্দ সিংহ- এর মৃত্যু হয়।
১৪) গুরু গোবিন্দ সিংহ কেবল অবিচার ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছেন।
১৫) তিনি শিল্পকলা প্রেমিক ছিলেন এবং অনেকগুলি কবিতাও রচনা করেছিলেন।
১৬) তিনি গোটা খালসা ও শিখ সম্প্রদায়কে নিজের সন্তান হিসেবে বিবেচনা করতেন।
গুরু গোবিন্দ সিংহ ছিলেন একজন যোদ্ধা, কবি, আধ্যাত্মিক শিক্ষক এবং দার্শনিক। ধর্মীয় শাস্ত্রের মাধ্যমে, তিনি তাঁর জ্ঞানের মধ্যে দিয়ে তাঁর সম্প্রদায়ের মানুষদের কাছে পৌঁছেছিলেন। তাঁকে স্মরণে রাখতে, প্রতি বছর শিখ সম্প্রদায়ের মানুষরা তাঁর জন্মবার্ষিকী অত্যন্ত উদ্দীপনার সহিত উদযাপন করে। এইদিন সবাই মানবজাতির কল্যাণ ও সমৃদ্ধির জন্য প্রার্থনা করে।
তথ্য সূত্র bengali.boldsky.com
Sob ek ekta moni mukto. Pelei dil khus.
ReplyDeleteThanks a lot once again dada.
কিছু বই বাদ থেকে যাচ্ছে। পরে দিয়ে দেবো।
DeleteWe are the best English/Bengali book publishers in India for new writers. By publishing with us, you can sell everywhere - both online and offline. Contact Orange Publishers, the Book Publishers in India
ReplyDeleteYour contact details ....
DeleteThanxs indra da.
ReplyDelete