Wednesday, September 27, 2023

Post # 1166 Bengali Amarchitra Katha 381

                                                                             ডাউনলোড করুন

 সঞ্জয় ছিলেন মহাভারতে বর্ণিত রাজা ধৃতরাষ্ট্র-এর রথের সারথি এবং ব্যাসদেব-এর শিষ্য।সারথি হলেও তিনি ছিলেন একজন সৎ ও ন্যায়পরায়ন মানুষ।হস্তিনাপুরের তৎকালীন মহারাজ ধৃতারাষ্ট্রের প্রিয় সারথি ছিলেন তিনি।সঞ্জয় ছিলেন সূত- (সারথি) বংশজাত।শ্রীমদ্ভাগবত গীতার (০১/১৩/৩২) এখানে সঞ্জয়কে গাবল্গন বলা হয়েছে অর্থাৎ সূত গাবল্গন হচ্ছেন সঞ্জয়ের পিতা।অর্থাৎ তিনি গবলগনের পুত্র ছিলেন।এই বিদ্বান ও স্পষ্টবক্তা সঞ্জয় আবার ছিলেন জন্মান্ধ রাজা ধৃতরাষ্ট্রের অন্যতম মন্ত্রীও। ধৃতরাষ্ট্রকে তিনি সব সময়েই সৎ পরামর্শ দিয়েছেন। ব্যাসদেবের প্রসাদে সঞ্জয় দিব্য দৃষ্টি লাভ করে ধৃতরাষ্ট্রকে কুরুক্ষেত্র যুদ্ধের বিবরণী শুনিয়েছেন।কারন তিনি তাঁর গুরু ব্যাসদেবের কৃপায় যুদ্ধ ক্ষেত্রে উপস্থিত না-থেকেও দিব্য চোখে সব দর্শন করতে পারতেন। এই সময় ধৃতরাষ্ট্র নিজের বা কৌরবদের পক্ষ নিয়ে কোনও অসত্য উক্তি করলে, তিনি কঠোর ভাবে তার সমালোচনা করেছেন। মহাযুদ্ধের শেষদিনে সাত্যকির হাতে সঞ্জয় বন্দী হন, কিন্তু ব্যাসদেবের হস্তক্ষেপে তিনি মুক্তি পান।এরপর ধর্মপুত্র মহারাজ যুধিষ্ঠির হস্তিনাপুরের রাজসিংহাসনে বসলে তিনি সঞ্জয়কে বহুবিধ গুরুত্বপূর্ণ কর্মের দায়িত্ব দেন।যুধিষ্টিরের রাজ্য শাসনের পনেরো বৎসর পরে যখন মহারাজ ধৃতরাষ্ট্র নিজ পত্নী রানী গান্ধারীকে নিয়ে বানপ্রস্থে চলে যাচ্ছেন।তখন মহামতী বিদুর ও পান্ডবজননী রানী কুন্তির সঙ্গে সঞ্জয়ও তাঁদের সাথী হন।তারপর কঠোর তপস্যায় বিদুরের আত্মত্যাগের পর যখন মহারাজ ধৃতরাষ্ট্র,রানী গান্ধারী ও রানী কুন্তি তপস্যারত অবস্থায় অরণ্যের দাবনলের অগ্নিতে নিজেদের আহুতি দেন, তখন ধৃতরাষ্ট্রের নির্দেশে সঞ্জয় তাঁদের ছেড়ে হিমালয়ে পর্বতের দিকে।তারপর তিনি হিমালয়ে গমন করেন এবং সেখানেই তাঁর জীবনাবসান ঘঠে।







  •  

    No comments:

    Post a Comment