Tuesday, June 30, 2020

Post # 972 Bengali Amarchitra Katha 018

                                                               ডাউনলোড করুন                         


ইন্দ্রজাল কমিকস্‌ ১-১০ অবধি পি ডি এফ করে দেওয়া হয়েছে ... সকলে ডাউনলোড করতে পারবেন । 


সীতার বনবাস, অশ্বমেধ যজ্ঞ করার সময়ে লব-কুশের সঙ্গে দেখা, তার পরে আবার সীতার অগ্নিপরীক্ষা চাওয়া এবং সবশেষে সীতার পাতালে প্রবেশ— মোটামুটি এই পর্যন্ত সকলেরই জানা। সীতার মৃত্যুর পরে লব-কুশ তাঁদের বাবার সঙ্গে অযোধ্যাতেই থেকে যান।
কিন্তু তার পরের কথা কি জানেন? পরিণত বয়সে কী কী করেছিলেন লব-কুশ? ভরত, লক্ষ্মণ আর শত্রুঘ্নদেরও তো ছেলেপুলে ছিল। রামের সেই ভাইপোদের কী গতি হল বলুন তো? এই নিয়ে মতবিরোধ থাকতে পারে পণ্ডিতদের মধ্যে তবে সবচেয়ে প্রচলিত মতটিই এখানে তুলে ধরা হল—
লব-কুশ
রাম মারা যাওয়ার আগে কোশল সাম্রাজ্যটি দু’ভাগে ভাগ করে যান। শোনা যায় লব-কে তিনি শ্রাবস্তীর রাজা হিসেবে অভিষিক্ত করে যান এবং কুশ-কে দিয়ে যান কুশাবতী নগর। বিন্ধ্য পর্বতের পাদদেশে নাকি ছিল এই নগর। শোনা যায় কাশী এবং মৌর্য রাজবংশ নাকি কুশেরই বংশধর। লব কিন্তু শ্রাবস্তীর রাজা হয়ে থেমে থাকেননি। প্রচলিত মত, তিনি ভারতের পশ্চিমাঞ্চলে তাঁর রাজ্য বিস্তার করেন এবং লাভাপুরী নামের একটি শহর প্রতিষ্ঠা করেন। এই লাভাপুরীই হল এখনকার পাকিস্তানের ‘লাহোর’। এই লবেরই আর এক নাম ‘লোহ’। লাহোর ফোর্টের ভিতরে তাঁর নামে একটি মন্দিরও রয়েছে। আবার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ ‘লাওস’ এবং থাইল্যান্ডের একটি শহর ‘লবপুরী’ তাঁরই নামাঙ্কিত। রাজস্থানের মেবার রাজবংশ লবেরই বংশধর বলে ধারণা। এছাড়া রাজস্থানের বেশ কিছু গোষ্ঠী রয়েছে যারা নিজেদের লবের বংশধর বলে দাবি করেন।







Monday, June 29, 2020

Post # 971 Bengali Amarchitra Katha 017

                                                                      ডাউনলোড করুন

     

হিন্দু পুরাণে অভিশাপের পরম্পরা নিয়ে লিখলে কর্ণের পরেই আসবে রাজা হরিশচন্দ্রের নাম | তাঁর পিতা সত্যব্রত ত্রিশঙ্কু হয়ে যা কষ্ট ভোগ করেছিলেন, পুত্র হরিশ্চন্দ্র তার তুলনায় কণামাত্র কম দুর্ভোগ পোহাননি | ঐতেরেয় ব্রাহ্মণ, মার্কণ্ডেয় পুরাণ, দেবী ভগবত্‍ পুরাণ, মহাভারতে আছে তাঁর কথা | উত্‍সবিশেষে ঈষত্‍ পরিবর্তন হয়েছে হয়তো | কিন্তু সর্বত্রই তিনি নিপীড়িত |
ঐতেরেয় ব্রাহ্মণে আছে রাজা হরিশচন্দ্রের শত মহিষী ছিলেন | কিন্তু কোনও পুত্র ছিলেন না | বরুণদেবের আশীর্বাদে পুত্রলাভ করলেন রাজা | পরিবর্তে হরিশ্চন্দ্রের কাছ থেকে বচন গ্রহণ করলেন বরুণদেব | ভবিষ্যতে একদিন তাঁকে কিছু দান করবেন রাজা হরিশ্চন্দ্র | প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হলেন নৃপতি |
কালক্রমে বড় হতে লাগলেন রাজা হরিশ্চন্দ্রের পুত্র | তাঁর নাম রোহিত বা রোহিতাশ্ব | একদিন বরুণদেব এসে প্রতিশ্রুতিমতো দান যাচনা করলেন | হরিশ্চন্দ্র ভেবেছিলেন হয়তো ধন সম্পদ চাইবেন তিনি | কিন্তু বরুণদেব চাইলেন পুত্র রোহিতকে ! তাঁকে তিনি বলি দেবেন | শ্রবণমাত্র কম্পিত হল পিতৃহৃদয় |
দেবরাজ ইন্দ্রের পরামর্শে রোহিত পলায়ন করলেন অরণ্যে | তাঁকে না পেয়ে দেবরোষে পড়লেন হরিশ্চন্দ্র | বরুণদেবের অভিশাপে রোগগ্রস্ত হয়ে পড়লেন রাজা | সেই সংবাদ পেয়ে অরণ্যচারী রোহিত বিচলিত হয়ে পড়লেন | এমতাবস্থায় তাঁর সাক্ষাত্‍ হল এক কপর্দকহীন বিপ্রর সঙ্গে | তাঁর নাম অজিগর্তা | তাঁকে বহু স্বর্ণমুদ্রা ও গাভী দিলেন রোহিত | পরিবর্তে তিনি পেলেন বিপ্রর মধ্যম পুত্রকে | রোহিতের পরিবর্তে তিনি রাজি হলেন বলিপ্রদত্ত হতে |
যাই হোক, শেষ অবধি বলিদান করেননি বরুণদেব | অজিগর্তার মধ্যম পুত্রকে দত্তক নিলেন বিশ্বামিত্র | বরুণদেবের অভিশাপ অস্তমিত হওয়ায় আরোগ্য লাভ করলেন রাজা হরিশ্চন্দ্র | ফিরে পেলেন ছেলে রোহিতাশ্বকে | এই একই আখ্যান আছে রামায়ণেও | সেখানে রাজার নাম অম্বরীশ |
মার্কণ্ডেয় পুরাণে যে কাহিনী আছে তা বহুল প্রচলিত | সেখানে কথিত নৃপতি হরিশ্চন্দ্র ছিলেন ত্রেতা যুগে | অত্যন্ত সত্‍ ও মহান এই নৃপতির মহিষী ছিলেন শৈব্যা বা তারামতী | পুত্র রোহিতাশ্ব |
একদিন মৃগয়ারত হরিশ্চন্দ্র নারীকণ্ঠের ক্রন্দন শুনলেন | ভাবলেন কোনও নারী হয়তো বিপদের সম্মুখীন | তিনি শরনিক্ষেপ করলেন | কিন্তু সেই ক্রন্দন ছিল মায়া | বিঘ্নরাজের সৃষ্টি | বিপদ আরও ঘোরতর করতে তিনি প্রবেশ করলেন রাজা হরিশ্চন্দ্রের দেহে | ওই অরণ্যেই তপস্যা করছিলেন ঋষি বিশ্বামিত্র | তাঁর সামনে গিয়ে কটুবাক্য নিক্ষেপ করেন রাজা | তাঁকে দিয়ে ওই দুষ্কর্ম করান বিঘ্নরাজ |
তপস্যা ভঙ্গ হওয়ায় কুপিত বিশ্বামিত্র রাজাকে বললেন, রাজসূয় যজ্ঞের যাবতীয় ব্যয় পূরণ করতে হবে তাঁকে | ইতিমধ্যে বিঘ্নরাজের প্রকোপ দূর হয়েছে | সম্বিত্‍ ফিরে পেয়েছেন হরিশ্চন্দ্র | তিনি বুঝলেন সমূহ বিপদ উপস্থিত |
যজ্ঞের নিমিত্ত সর্বস্ব হরণ করলেন বিশ্বামিত্র | রাজার ধন সম্পদ দাস দাসী লোকলস্কর থেকে শুরু করে পরনের বস্ত্র অবধি | সব ত্যাগ করে শুধু কৌপীন পরে রাজ্য ত্যাগ করলেন রাজা হরিশ্চন্দ্র | সঙ্গে স্ত্রী ও পুত্র | ঐটুকুই মাত্র নিজের কাছে রাখার অনুমতি পেয়েছিলেন রাজা | কিন্তু তখনও জানতেন না সামনে কী অপেক্ষা করে আছে | তাঁরা যাতে দ্রুত রাজ্য ছাড়েন, রানি শৈব্যাকে লাঠিপেটা করতে লাগলেন বিশ্বামিত্র |
ভাগ্য বিড়ম্বিত রাজা হরিশ্চন্দ্র পৌঁছলেন কাশী | দেখলেন আগেই উপস্থিত বিশ্বামিত্র | তিনি বললেন তাঁর যজ্ঞের ব্যয় এখনও বাকি | আরও অর্থ প্রয়োজন | হরিশ্চন্দ্র বাধ্য হলেন স্ত্রীকে বিক্রি করতে | শিশুপুত্র মাকে ছেড়ে কী করে থাকবে ? তাই সেও সঙ্গ নিল মায়ের | মহিষীকে বিক্রয় করে যা পেলেন ঋষির হস্তে সমর্পণ করলেন রাজা |
তথাপি ঋষির ক্ষুধা নিবৃত্ত হল না | এ বার হরিশ্চন্দ্র বললেন তিনি ঋষির ক্রীতদাস হতে পারবেন | এই ভিন্ন আর কিছু দেওয়ার নেই | তখন প্রভু বিশ্বামিত্র ক্রীতদাস হরিশ্চন্দ্রকে এক চণ্ডালের কাছে বিক্রয় করে বেশ কিছু স্বর্ণমুদ্রা লাভ করলেন |
রাজা থেকে ক্রীতদাস হওয়া হরিশ্চন্দ্র চণ্ডালের নির্দেশে নিযুক্ত হলেন শ্মশানে | নিকৃষ্ট কদর্য উপায়ে সম্পন্ন হতো তাঁর ক্ষুন্নিবৃত্তি | একদিন রাতে ঘুম ভেঙে গেল তাঁর | দেখলেন পায়ের কাছে বসে কাঁদছেন স্ত্রী শৈব্যা | তাঁর কোলে মৃত পুত্র | সর্পাঘাতে মারা গিয়েছে সে | দেখে শোকে উন্মদ হয়ে গেলেন রাজা | ভাবলেন আত্মহত্যা করবেন | কিন্তু ঋণ শোধ না করলে তো পরজন্মেও সেই বোঝা বহন করতে হবে |
তাই নিবৃত্ত হলেন সে চিন্তা থেকে | এমনকী স্ত্রীকে বললেন যতক্ষণ না তিনি ঋণমুক্ত হচ্ছেন ততক্ষণ পুত্রের অন্ত্যেষ্টি করবেন না | কারণ তাকেও পরজন্মে পাপের ভাগীদার হতে হবে |
সেই মুহূর্তে স্বর্গ থেকে আবির্ভূত হলেন দেবতারা | উপস্থিত হলেন ঋষি বিশ্বামিত্র | রাজা হরিশ্চন্দ্র জ্ঞাত হলেন এ সবই ছিল তাঁর উপর পরীক্ষা | তাতে তিনি সসম্মানে উত্তীর্ণ | অতএব স্বর্গবাসে আর বাধা নেই | সেই চণ্ডাল যাঁর নিকট ক্রীতদাস হয়ে ছিলেন রাজা, তিনি প্রকাশ করলেন নিজ পরিচয় | তিনি ছিলেন ধর্মরাজ | যাই হোক, সস্ত্রীক স্বর্গারোহণ করলেন রাজা হরিশ্চন্দ্র | জীবন ফিরে পেল তাঁর পুত্র রোহিতাশ্ব |
রাজা হরিশ্চন্দ্রের কুলগুরু ঋষি বশিষ্ঠ দীর্ঘ দ্বাদশ বত্‍সর তপস্যারত ছিলেন | তিনি সব জানতে পেরে রুষ্ট হলেন বিশ্বামিত্রর উপরে | দুজনে আরও একবার দ্বন্দ্বে অবতীর্ণ হতে যাচ্ছিলেন | বিরত করলেন ব্রহ্মা | প্রজাপতি ব্রহ্মা বললেন এই অগ্নিপরীক্ষায় রাজা হরিশ্চন্দ্রের কোনও ক্ষতি হয়নি | বরং তিনি স্বর্গারোহণ করতে পেরেছেন |
স্বর্গের মাহাত্ম্য মহিমান্বিত করতে এভাবেই ইহজীবনকে তুচ্ছ করে দেখানো হতো হিন্দু পুরাণে | এই উদাহরণ আছে অন্যত্রও | তবে সেই ধারায় সর্বোত্‍কৃষ্ট যে রাজা হরিশ্চন্দ্রের জীবনকাহিনী তাতে সন্দেহ নেই |









Sunday, June 28, 2020

Post # 970 Bengali Amarchitra Katha 016

                                                                  ডাউনলোড করুন



বিদর্ভরাজ ভীমের কোন সন্তান হচ্ছিলো না। এই নিয়ে বিদর্ভরাজের মনে খুব দুঃখ ছিলো। একদিন তার কাছে এক ঋষি আসলেন। নাম দমন। ভীম ও তার স্ত্রী দমন ঋষিকে খুব সেবা যত্ন করলেন। ঋষি খুশি হয়ে বর দিলেন, ভীমের এমন রূপবতী এক কন্যা হবে, যাকে পাওয়ার জন্য দেবতারাও কামনা করবে। হলোও তাই। দময়ন্তী নামে এক কন্যা হলো। অপরূপ রূপবতী সে কন্যা। আর জন্ম নিলো তিন পুত্র দম, দন্ত ও দমন। যাইহোক, দময়ন্তী যখন যুবতী, তখন তার রূপের প্রশংসা সারা ভারত বর্ষে ছড়িয়ে পড়লো। এমনকি দেবতারাও দময়ন্তীর রূপে মুগ্ধ হয়ে প্রেমে পড়ে থাকলেন।
 নিষধরাজ বীরসেনের ছিলো গুণবান ও সুদর্শন এক পুত্র। নাম তার নল। তার বীরত্ব ও সৌন্দর্যের প্রশংসা চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। লোকমুখে দময়ন্তীর রূপ ও গুণের কথা শুনে নল তাকে মনে মনে ভালোবেসে ফেলে। আবার অপর দিকে দময়ন্তীও নলের প্রশংসা শুনে মনে মনে তাকে ভালোবেসে ফেলে। দুইজন দুইজনকে না দেখেই শুধু পরস্পরের সম্পর্কে লোকমুখে শুনে গভীর প্রেমে পতিত হয়। একদিন উদ্যানে নল এক সোনা রঙের রাজহাঁস দেখতে পেয়ে তাকে বন্দী করে। হাঁস মুক্তি পাওয়ার জন্য বলে যে, তাকে যদি ছেড়ে দেয়া হয় তবে সে দময়ন্তীর কাছে গিয়ে নলের মনের কথা খুলে বলবে। নল তাতে রাজী হয়। সে হাঁসটিকে ছেড়ে দেয়। হাঁস দময়ন্তীর কাছে গিয়ে নলের মনের কথা সমস্তই খুলে বলে। দময়ন্তী সব শুনে নিজের মনের কথাও হাঁসকে বলে দেয়। এ ভাবে হাঁসকে দূত করে তাদের প্রেম চলতে থাকে। এর কিছুদিন পর, বিদর্ভরাজ দময়ন্তীর বিবাহের জন্য এক বিরাট স্বয়ংবর সভার আয়োজন করেন। বিভিন্ন দেশের রাজা ও রাজকুমারগণ সেই সভায় উপস্থিত হন। শুধু কি তাই? দেবরাজ ইন্দ্র এবং অন্যান্য দেবতারাও দময়ন্তীর সৌন্দর্যে আকৃষ্ট হয়ে স্বয়ংবর সভায় উপস্থিত হন। নলও এই সভায় যোগদানের জন্য রওনা দেন। পথে নলের সাথে ইন্দ্র, অগ্নি, বরুণ ও যমের সাক্ষাৎ হয়। দেবতারা নলের সৌন্দর্য দেখে ভাবেন, এ থাকলে তাঁদেরকে দময়ন্তী পাত্তাই দিবে না। তাই দেবতারা যুক্তি করে নলকে তাঁদের দূত হতে অনুরোধ করেন। কিন্তু নল প্রথমে তা করতে অস্বীকার করে। বলে, যেহেতু আমি নিজেই স্বয়ংবর প্রার্থী, আমা দ্বারা এই কাজ করা অনুচিত। কিন্তু দেবতারা তাকে বাধ্য করে দূত হতে। দেবতাদের বরে অদৃশ্য হয়ে নল দময়ন্তীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে দেবতাদের মনের কথা খুলে বলেন। কিন্তু দময়ন্তী দেবতাদের প্রত্যাখ্যান করে নলকেই স্বামী হিসাবে পাওয়ার কথা জানান... তারপর... ।










Saturday, June 27, 2020

Post # 969 Bengali Amarchitra Katha 015

                                                                       ডাউনলোড করুন    



 হিন্দুত্ব বাদী  পত্রিকা  বলে কয়েকজন গবেষক নাকি অমর চিত্র কথা কে আখ্যা দিয়েছিলেন... এমন কি আনন্দবাজার পত্রিকাতেও একটি লেখা প্রকাশিত হয়েছিল এই নিয়ে... তা হলে প্রশ্ন হচ্ছে হিন্দুদের  প্রাচীনতম মহাকাব্য  রামায়ন  সম্পর্কে স্পষ্ট কথাটি স্পষ্ট করেই লেখা হয়েছে... ঋষি বাল্মীকির এক নির্মম ব্যাধের শরাঘাতে নিহত ক্রৌঞ্চের সঙ্গিনী  ক্রৌঞ্চীর শোক দেখে  সমব্যাথী হয়ে হৃদয় থেকে এই কাব্য নির্গত হয়েছিল... ইত্যাদি ...ইত্যাদি... স্পষ্ট কথাটি স্পষ্ট ভাবেই বলা হয়েছে এখানে...  এবং সমস্ত ধর্মের  বিখ্যাত ভারতীয় দের নিয়ে তৈরি এই অমর চিত্র কথা...


  













Friday, June 26, 2020

Post # 968 Bengali Amarchitra Katha 014

                                                                     ডাউনলোড করুন



১৩ নং অমর চিত্র কথার এই বই টি আমি কখনো দেখিনি... বাংলায় প্রকাশ পেয়েছিল কিনা জানানেই... কেউ জানলে তথ্য সহ জানাবেন । তাই আজ ১৪ নং  অমর চিত্র কথা পোস্ট করলাম ।














 সাবিত্রী ও সত্যবানের গল্প টি মহাভারত থেকে নেওয়া... সত্যবানের প্রতি  সাবিত্রীর গভীর ভালবাসা এবং যমের সামনে দাড়িয়ে তাঁর অসীম সাহস ও প্রখর বুদ্ধি  পরিচয় পাই... সাবিত্রী স্বেচ্ছায় দুঃখ ও দারিদ্র কে বরন করে নিয়েছিল, আবার সেই দুঃখের দিন অতিক্রম করে সুখের দিন তিনি নিজেই এনেছিলেন।





Thursday, June 25, 2020

Post # 967 Bengali Amarchitra Katha 012

                                                                       ডাউনলোড করুন                       



শকুন্তলার গল্প প্রথম পাওয়া যায় মহাভারতের আদি পর্বে, প্রধান চরিত্রদের বংশ পরিচয় সূত্রে, পরিবর্তীকালে বিখ্যাত সংস্কৃত কবি  নাট্যকার কালিদাস ঈষৎ  পরিবর্তন করে এই কাহিনীর নাট্যরূপ দেন ।
শকুন্তলা মহর্ষি বিশ্বামিত্র স্বর্গের অপ্সরী মেনকার কন্যা, মেনকা শকুন্তলার জন্মের পর তাঁকে ত্যাগ করে  যান , কণ্ব মুনি(  কণ্ব মুনি হিন্দু পৌরাণিক কাহিনি মতে– জনৈক ঋষি। তিনি ছিলেন সর্ব্বলোকপূজিত, ঊর্দ্ধ্বরেতাঃ এবং ধর্মে অটল। এঁর আশ্রম ছিল মালনী নদীর নিকটস্থ একটি মনোরম স্থানে। মহাভারতে তাঁর আশ্রমের অপার সৌন্দর্য্য বর্ণিত হয়েছে। [মহাভারত। আদিপর্ব। সপ্ততিতম অধ্যায়। কণ্ব মুনির আশ্রমসমৃদ্ধি] । রাজা দুষ্মন্তের স্ত্রী শকুন্তলা তাঁর পালিতা কন্যা ছিলেন,তা ছাড়াও ছিলেন ত্রেতা যুগের একজন প্রাচীন হিন্দু ঋষি, যার কাছে ঋগ্বেদের কয়েকটি স্তব লিপিবদ্ধ রয়েছে। তাকে ঘোরের পুত্র এবং অঙ্গিরসদের একজন বলা হত ৷ তাকে কখনো কখনো সাতটি ঋষির (সপ্তর্ষি) তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়। কণ্ব (কর্ণেশ) শুক্ল যজুর্বেদের একটি বৈদিক শাখার প্রতিষ্ঠাতার নামও,; কণ্ব মহর্ষি ছিলেন ... ) তাঁকে পেয়ে পালিতা কন্যা হিসাবে গ্রহণ করেন... পরে অনেক ঘটনার মধ্য দিয়ে রাজা দুষ্মন্তের সঙ্গে তাঁর বিবাহ হয়... মনে করা হয় পাণ্ডব - কৌরবদের পূর্বপুরুষ হচ্ছেন শকুন্তলা  ও দুষ্মন্তের পুত্র ভরত, ... ভরতের নাম অনুসারে আমাদের দেশের নাম হয়েছে ভারত ।












Wednesday, June 24, 2020

Post # 966 Bengali Amarchitra Katha 011b

                                                                      ডাউনলোড করুন                               
  


 ১১ নং অমর চিত্র কথা 'কৃষ্ণ' প্রকাশিত হয়ে ছিল ৩ টি , তার মধ্যে ২ টি বাংলায় প্রকাশিত হয়ে ছিল... আজ দ্বিতীয় টি থাকছে সকলের জন্য... শিল্পী  'রামওয়াইকার'অনুবাদক হলেন সকলের পরিচিত 'শ্রী অখিল নিয়োগী' ,স্বপন বুড়ো ছদ্ম নামে লিখতেন ।  








Tuesday, June 23, 2020

Post # 965 Bengali Amarchitra Katha 011a




 ১১ নং অমর চিত্র কথা 'কৃষ্ণ' প্রকাশিত হয়ে ছিল ৩ টি , তার মধ্যে ২ টি বাংলায় প্রকাশিত হয়ে ছিল ও আর একটি ইংরাজি তে দেখেছি...এই বাংলা দুটির অলংকরণ কিন্তু সম্পূর্ণ আলাদা, ইংরাজি টির অলংকরণ আমি দেখিনি...আর প্রথম দুটির শিল্পী ও এক 'রাম ওয়াইরকার' তো আজ একদম প্রথম টি থাকছে সকলের জন্য...   










 




Monday, June 22, 2020

Post # 964 Bengali Amarchitra Katha 007

                                                                     ডাউনলোড করুন



'যাদুর ফোয়ারা' কোথায় গেল ... খুঁজে পাচ্ছিনা... তাহলে আর ৭ টি বই বাকি থাকলো ১ - ১০ এর মধ্যে... তবে কথা দিলাম যে কখনো দেবই... কেউ দিক বা না দিক পরোয়া করিনা...আর বইয়ের  গুন গতো মান  কেমন হচ্ছে জানাবেন
যাইহোক ... পরের পোস্টের জন্য একটু অপেক্ষা করুন... । 

আনন্দমেলা থেকে করা কমিকস্‌ ৯২১ নং পোস্ট এর 'বীর তীরন্দাজ' দয়া করে আর একবার ডাউনলোড  করুন , দুটি পাতা 'মিসিং' ছিল... 'লিঙ্ক' পাল্টে দিয়েছি...।  







Sunday, June 21, 2020

Post # 963 Bengali Amarchitra Katha 004

                                                                      ডাউনলোড করুন



 

অমর চিত্র কথার মোট সংখ্যা ৪৬৫ উপর কিন্তু বাংলায় মোট কটি প্রকাশিত হয়ে ছিল সেটি সঠিক বলা কঠিন কাজ... তবে কোলকাতার বিভিন্ন সংগ্রহকের সাথে কথা বলে ও নিজের সংগ্রহ থেকে এই টুকু বলাজায় যে ২৩০ - ২৩৫ এর থেকে বেশি নয়...   আবার বাংলায় 'কপাল কুণ্ডলা' , 'সম্রাট রাম দাস' ,'শ্রী দত্ত' , 'ভানুমতি' প্রকাশিত দেখালেও আমি পাইনি ও কারুর কাছে আছে বলেও শুনিনি ।
তাই অমর চিত্র কথা পরপর দেওয়া হবে এমন টা না ভাবাই ভালো... আমার কাছেও কিছু বই এখনো নেই যেমন চীন দেশে ডাঃ কোটনিস, সমুদ্র পথে ভারত, স্বর্ণময় বালি ইত্যাদি... তবে যাদের কাছে আছে তাঁরা কিন্তু স্ক্যান করতে দেবে না ... 'লক এন্ড কি' নীতি... পয়সা দিয়ে কেনা আমি কেন দেবো বা অন্য কথা বলে এড়িয়ে যাওয়া...
দীপন পত্রিকায় একটি লিস্ট তৈরি করে দিয়ে ছিলাম পরে পারলে  পি ডি এফ করে দেবো ...। 












Saturday, June 20, 2020

Post # 962 Bengali Amarchitra Katha 002

                                                                       ডাউনলোড করুন                                        


 কি করতে চলেছি নিশ্চই সকলে বুঝে গেছেন... প্রথম ১০ টি কিন্তু বাংলা ও হিন্দি ছাড়া অন্য ভাষায়  সম্ভবত প্রকাশিত হয়নি...... 'অনন্ত পাই স্যার' ১৯৬৭ সালে অমর চিত্র কথা শুরু করেছিলেন বোম্বাই তে কিন্তু তার অনেক আগেই ১৯৬৫ সালে 'ব্যাঙ্গালোরে' এই সিরিজের ১০ টি সংখ্যা প্রকাশিত হয়েছিল...... অমর চিত্র কথার ইতিহাস এ 'আউটলুক' পত্রিকায় প্রকাশিত একটি নিবন্ধে জানা গেছে যে অমর চিত্র কথার মূল ধারনা এবং প্রস্তাব দেন  ব্যাঙ্গালোরের বই ব্যাবসায়ী 'জি  কে অনন্ত রাম' । এর ফলে ইংরাজি হিন্দি বা বাংলায় নয় কন্নড় ভাষাতেই অমর চিত্র কথার প্রথম ১০ টি কমিকস্‌ প্রকাশিত হয়ে ছিল... যদিও এই ১০ টি বইয়ের বিষয় ছিল রুপকথার গল্প, কন্নড় ভাষাতে অমর চিত্র কথার এই বিশাল ব্যাবসায়িক সাফল্য 'ইন্ডিয়ান বুক হাউসে'র কর্ণধার 'মিরচন্দানি' কে তার বোম্বাই অফিস থেকে প্রকাশ করতে উদ্বুদ্ধ করে... ।
' অনন্ত পাই স্যার' সম্পাদক হিসাবে এই সিরিজের দায়িত্ব নিলেন......এর পরের ঘটনা তো ইতিহাস...।
                                                                             --- এপ্রিল ২০১৬ প্রকাশিত  দীপন পত্রিকায় আমার লেখা থেকে কিছুটা তুলে ধরলাম সকলের জন্য ।


 অমর চিত্র কথা  সম্পর্কে আরো তথ্য কালকের জন্য থাকলো বাকি.........

প্রথম ১০ টি ......
 ১. জ্যাক ও শিম গাছের গল্প
২.  সিণ্ডেরেলা
৩. ছোট্ট লাল দোলাই
৪. আলাদ্দীন আর তার পিদিম
৫. যাদুর ফোয়ারা
৬. তিনটি শূওর ছানা
৭. ঘুম পুরীর রাজ কন্যে
৮. ওজ- এর জাদুকর
৯. পিনক্কিও
১০. তুষারময়ী ও সাত বামন
                                                                          

                                                                                                               
 
 ১৯৬৭ সালে ফেব্রুয়ারী মাসে শ্রী অনন্ত পাই  দূরদর্শনে একটি কুইজের অনুষ্ঠান দেখছিলেন... সেখানে তিনি দেখেন যে তরুন প্রজন্মের ছেলে মেয়ে রা গ্রিক ও রোমান মিথ ও পুরান এর প্রশ্নের উত্তর গুলি খুব ভালভাবে দিচ্ছে কিন্তু ভারতীয় পৌরাণিক গল্পের উত্তর তারা দিতে পারছেনা... রামের মা কে ?  তা তাদের জানা নেই ... এর পর আঙ্কেল পাই অনুভব করেন ভারতীয় ছেলে মেয়ে দের যদি ভারতীয় সভ্যতা ও সংস্কৃতি সম্পর্কে জানাতে হয় তবে একটি কমিকস্‌ সিরিজ করে তাদের জানাতে হবে ... ১৯৬৭ সালে বোম্বাই তে শুরু করেন এই সিরিজ ।
                                                             --- এপ্রিল ২০১৬ প্রকাশিত  দীপন পত্রিকায় আমার লেখা থেকে কিছুটা তুলে ধরলাম সকলের জন্য ।