সবাইকে নতুন বছরের শুভেচ্ছা ,সকলে ভালো থাকবেন । আজ থকছে সমুদ্র মন্থন......
পুরাণ অনুসারে, দেবাসুরের দ্বন্দ্ব জন্মলগ্ন থেকেই। উভয়েই মহামুনি কাশ্যপের সন্তান। দেবতাদের মাতা অদিতি, যেজন্য তাঁরা আদিত্য। অন্যদিকে অসুরেরা দিতির পুত্র, তাই দৈত্য। এই বৈমাত্রেয় সম্পর্কের কারণেই উভয়ের মধ্যে বিবাদ।
কিন্তু হল কী, দুইপক্ষের যখন যুদ্ধ হয়,
আর তাতে অসুরেরা মারা যায়। নিমেষেই তাদের প্রাণ ফিরে আসত। কারণ দৈত্যদের
গুরু শুক্রাচার্য মৃত সঞ্জীবনী বিদ্যা জানতেন। যার দ্বারা মুহূর্তেই মৃত
ব্যক্তির শরীরে পুনরায় প্রাণ সঞ্চার করা যেত। দেবগুরু বৃহস্পতি এ বিদ্যা
জানতেন না। ফলে কোনও দেবতা মারা গেলে তিনি আর প্রাণ ফিরে পেতেন না।
এভাবে যে কত দেবতার প্রাণ গিয়েছে, ইয়ত্তা নেই। অতঃপর দেবগুরু বৃহস্পতির পুত্র কচ শুক্রাচার্যের শিষ্যত্ব গ্রহণ করে মৃত সঞ্জীবনী বিদ্যা শিখে ফেলেন। কিন্তু তাতেও সন্তুষ্ট হতে পারছিলেন না দেবতারা। সে সময়ই ঘটে গেল এক ঘটনা। ধনদেবী লক্ষ্মীকে রসাতল অর্থাৎ পাতালে যাওয়ার অভিশাপ দিলেন মহামুনি দুর্বাসা।
ব্যস! শুনেই সকলের মাথায় হাত। লক্ষ্মী স্বয়ং ধনরত্নের দেবী। তিনি না থাকলে যে খোদ কুবের-ই নিঃস্ব হয়ে যাবেন! তখন পিতামহ ব্রহ্মা এক ঢিলে দুই পাখি মারার পরামর্শ দিলেন দেবতাদের। বললেন, সমুদ্র মন্থন করতে হবে। এতে লক্ষ্মী তো উঠে আসবেনই, সেইসঙ্গে অমৃত নামক একটি তরলও। এই তরল যে একবার পান করবেন, কখনও মৃত্যু হবে না তাঁর। ব্যস্ আর কী, দেবাসুর মিলে শুরু হয়ে গেল সমুদ্র মন্থন। বাকি ঘটনা তো আমাদের জানাই।
No comments:
Post a Comment