১৮৮৫ সালে প্রতিষ্ঠিত ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল কংগ্রেস (INC), ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসন থেকে ভারতের স্বাধীনতার সংগ্রামকে গঠনে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই আর্টিকেলে, ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল কংগ্রেসের সূচনা থেকে 1905 সাল পর্যন্ত বিস্তারিত তথ্য প্রদান করা হয়েছে।১৮৮৫ খ্রিস্টাব্দে বোম্বাই শহরে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠা ভারত ইতিহাসে এক অতি উল্লেখযোগ্য ঘটনা। সেই সময় ভাইসরয় লর্ড ডাফরিন এর সময় গঠিত হয় ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস। ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস এলান অক্টাভিয়ান হিউম প্রতিষ্ঠা করেন। প্রথম সম্মেলন আয়োজিত হয় ১৮৮৫ সালে বোম্বেতে W.C. বোনার্জী সভাপতিত্বে। যেখানে ভারতীয়দের ধর্ম-জাত -ভাষা স্থান এর ঊর্ধ্বে গিয়ে প্রকৃত সমস্যা নিয়ে আলোচনা করা হয়। এইজন্য শুরু থেকেই ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস হয়ে উঠেছিল এক সর্বভারতীয় ধর্মনিরপেক্ষ আন্দোলন। প্রতিষ্ঠার সময়
জাতীয় কংগ্রেসের মনোভাব কোনভাবেই ব্রিটিশ সরকারের বিরোধী ছিল না। জাতীয় কংগ্রেসের নেতৃবৃন্দ তাদের প্রত্যেক অধিবেশনেই ব্রিটিশ সরকারের ন্যায় বিচার, সুশাসন ও উদার শাসনতান্ত্রিক আদর্শের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ব্রিটিশ সরকারের জয়গান গাইতেন এবং তাদের লক্ষ্য ছিল ব্রিটিশ শাসনাধীনে কিছুটা স্বায়ত্তশাসন অর্জন করা। জাতীয় কংগ্রেস প্রতিষ্ঠিত হওয়ার ব্যাপারটিকে সরকার ভালো নজরে দেখেন নি বরং রাজনৈতিক সমস্যা অপেক্ষা সামাজিক সমস্যার দিকে দৃষ্টিপাত করে। কংগ্রেস নেতৃত্বে পরিচালিত জাতীয় কংগ্রেস তাদের পক্ষে ক্ষতিকর হবে না। তাঁরা মনে করেছিলেন যে জাতীয় কংগ্রেসের নেতৃবৃন্দ হয়তো নিজেদের মধ্যে পাণ্ডিত্যপূর্ণ কিছু রাজনৈতিক বিতর্কের মধ্যেই তাদের কার্যাবলী সীমাবদ্ধ রাখবেন। এই কারণে জাতীয় কংগ্রেসের প্রতি সহযোগিতার হাত প্রসারিত করেছিলেন। প্রথম তিন বছর পর সরকারি কর্মচারীরা কংগ্রেস অধিবেশনে যোগদান করে আলোচনায় অংশগ্রহণ করতেন। দ্বিতীয় সম্মেলন আয়োজিত হয়েছিল ১৮৮৬ সালে কলকাতায় এবং তৃতীয় সম্মেলন আয়োজিত হয় হাজার ১৮৮৭ সালে মাদ্রাজে।ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের উৎপত্তি হল একটি রহস্য। হিউম লর্ড ডাফরিন এর অধীনে কংগ্রেস দল গঠন করেন যার প্রধান দুটি কারণ হল- ভারতীয়দের সেফটি ভালব প্রদান করা এবং ইংল্যান্ডের রানীর বিরোধী দলের ন্যয় ভারতেও একটি আধা সাংবিধানিক দল গঠন করা। ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস হল ভারতের তৎকালীন ভাইসরয় লর্ড ডাফরিনের সময়ের তৈরী। ডাফরিনের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল এমন একটি রাজনৈতিক সংগঠন তৈরী করা যা ভারতে মানুষের আসল ইচ্ছে ও প্রয়োজনকে তুলে ধরবে এবং পাশাপাশি শাসনব্যবস্থাকে দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক সমস্যার হাত থেকে বাঁচাবে।
No comments:
Post a Comment