দুঃখ নিবৃত্তির সন্ধানে গৌতম বুদ্ধ একদিন সংসার ত্যাগ করে ছিলেন । গয়ার এক বোধি বৃক্ষের নিচে তপস্যা করে তিনি সিদ্ধি লাভ করেন , গৌতম সম্যক জ্ঞান বা বোধি লাভ করেন বলে তাঁর নাম হয় বুদ্ধ । তাঁর প্রচারিত ধর্মমত সরল ও সহজ ।তিনি বলতেন এই পার্থিব জগৎ নানা দুঃখে ভরা ,বেশি সুখভোগের আকাঙ্খা ভালো নয় , বাসনা থেকেই দুঃখের উৎপত্তি ।
বুদ্ধের মতে আটটি উপায়ে এই বাসনা নিবৃত্তি হতে পারে । যেমন সম্যক দৃষ্টি ,সম্যক জ্ঞান ,সৎ বাক্য , সৎ সংকল্প,সৎ জীবন,সৎ চেষ্টা,সৎ সৃতি এবং সম্যক সমাধি । এই আটটি উপায়কে অনুসরন করলে মানুষ দুঃখ থেকে মুক্তি সন্ধান পেতে পারে । ।
বিভিন্ন ধর্মে বুদ্ধ
হিন্দুধর্ম
হিন্দুধর্মে গৌতম বুদ্ধকে কিছু পুরাণ অনুযায়ী বিষ্ণুর অবতার বলা হয়েছেতবে ভাগবত পুরাণ অনুযায়ী অঞ্জনের পুত্র অর্থাৎ সুগত বুদ্ধ বিষ্ণুর অবতার।
প্রকৃতপক্ষে, বুদ্ধের শিক্ষা পবিত্র বেদের কর্তৃত্ব এবং ব্রহ্ম-আত্মার ধারণাকে অস্বীকার করেফলস্বরূপ, হিন্দু ধর্মের ছয়টি নৈষ্ঠিক আস্তিক দর্শন শাখার বিপরীতে বৌদ্ধধর্মকে সাধারণত একটি নাস্তিক দর্শন হিসাবে শ্রেণীবদ্ধ করা হয়। এছাড়াও ত্রিপিটকের দীর্ঘ নিকায়ে ভগবান বুদ্ধ বলেছেন যে তিনি কারও অবতার নন
ইসলাম
পবিত্র কুরআনের সূরা ৯৫:১ অনুযায়ী কেউ কেউ ইসলামের নবি যুল কিফ্লকে গৌতম বুদ্ধ হিসেবে শনাক্ত করে থাকে, যেখানে একটি বট বৃক্ষের কথা বলা হয়েছে যা কুরআনে উল্লেখিত অন্যান্য নবিদের জীবনের সাথে জড়িত নয়। কোনো অনুবাদকের মতে তাঁর জন্মস্থান কপিলাবস্তুতে হতে পারে।
অল্প পরিমাণ আহ্মদীয়া সম্প্রদায়ের মতেও তাঁকে নবি হিসেবে মানা হয়।
খ্রীষ্টধর্ম
ঋষি বারলাম ও জোসাফাতের জীবনী গৌতম বুদ্ধের জীবনী নির্ভর
শিখধর্ম
শিখ গুরু গোবিন্দ সিং এর লেখা দশম গ্রন্থ নামক শিখ গ্রন্থের চব্বিশ অবতার নামক রচনায় গৌতম বুদ্ধকে বিষ্ণুর ২৩তম অবতার বলা হয়েছে।
এই চিত্র কথায় পাঠক বুদ্ধের বানীর নির্যাস অনাসেই আবিষ্কার করতে পারবেন।
No comments:
Post a Comment