এই বইয়ের তিনটি গল্প উপনিষদ থেকে নেওয়া হয়েছে । উপনিষদের আরেক নাম বেদান্ত, অর্থাৎ বেদের শেষ, কারন এগুলি হলো বৈদিক সাহিত্যের শেষ অংশ ।এগুলির মধ্যে বেদের চরম উদেশ্য, নিজেকে জানার কথা আছে ।
উপনিষদ শব্দটির আক্ষরিক মানে হলো ‘কারো পাশে বসা’। এই শব্দটি থেকেই প্রাচীন ভারতের শিক্ষা দান করার যে নিয়ম প্রচলিত ছিল, তার কথা জানা যায় । শিক্ষা-প্রার্থী হয়ে গুরুর কাছে শিষ্য এলে গুরু তার বুঝবার ক্ষমতা বিচার করে তবে স্থির করতেন তাকে কোন শিক্ষা দেবেন ।প্রথম গল্পটিতে ‘নচিকেতাকে’ আরো জ্ঞান দেবার আগে যমরাজ তাকে পরীক্ষা করে নিয়েছিলেন ।
বৈদিক যুগে মৌখিক উপদেশের চেয়ে বরং বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে শিষ্যরা শিক্ষা লাভ করতো । গুরু হলেন স্বয়ং প্রকৃতি, ‘সত্যকামের’ কাহিনীতে এর প্রমান দেখা যায় । যদি বা কিছু মৌখিক শিক্ষা দেওয়া হতো, যতটা সম্ভব কম করেই দেওয়া হতো ।
তৃতীয় গল্পে ‘প্রজাপতি’ একটি মাত্র শব্দাংশ দ্বারা শিক্ষা দান করেছেন । শব্দাংশটি হলো ‘’দ’’ । বোঝাই যাচ্ছে যে বৈদিক যুগের গুরুরা লম্বা লম্বা বক্তৃতায় বিশ্বাস করতেন না । গুরু যা বলতেন শিষ্যরা নিজের নিজের অভিজ্ঞতার আলোকে সেটিকে গ্রহন করতো এবং ব্যাখ্যা করতো ।
দারুণ লাগলো অতিবো সুন্দর
ReplyDeleteধন্যবাদ
Delete