পাণ্ডবদের অজ্ঞাতবাসের সময়ে হনুমান এক অসুস্থ এবং বৃদ্ধ বানরের বেশে ভীমকে দেখা দেন। ভীম ছিলেন অসম্ভব আত্মগর্বী। তাঁকে শিক্ষা দেওয়াই ছিল বজরং বলীর উদ্দেশ্য। ভীমের পথ রুদ্ধ করে অসুস্থ বৃদ্ধের ছদ্মবেশে হনুমান শুয়ে ছিলেন।
#
এই বানর আর অন্য কেউ ছিলেন না, ইনি ছিলেন শ্রীরামচন্দ্রের সর্বোত্তম
ভক্ত, মহাবলী হনুমান! নিজের যাবার পথে এরকম ভাবে একটা বানরের লেজ পড়ে থাকতে
দেখে, ভীম মনে মনে ভাবলো, "আমি মহাবলবান! অথচ আমার চলার পথের উপর এই তুচ্ছ
বানরের লেজ পড়ে আছে যা কিনা আমাকে পার করতে হবে!'
# এতে ভীমের খুব
অহংকার হলো! একটা তুচ্ছ বানরের লেজ পড়ে থাকবে মহাবলী ভীমের পথে? এই ব্যপার
তার ব্যক্তিত্তে খুব আঘাত করলো! ভীম হুংকার দিয়ে তাঁকে বললো, "ওহে বানর,
আমার পথ ছেড়ে দাও! তোমার এই তুচ্ছ লেজ আমার পথের উপর থেকে সরিয়ে নাও।"
#
হনুমান উত্তরে তাকে বললেন, "দেখো, আমি বৃদ্ধ হয়ে গেছি! তাই এখানে শুয়ে
বিশ্রাম করছি। লেজ আর কিভাবেই বা সরাবো তুমিই বলো? বার্ধক্যগ্রস্থ প্রাণী
কি আর সেই শক্তি রাখে? তুমিই বরং লেজটা এক পাশে সরিয়ে রেখে তোমার পথে তুমি
চলে যাও।"
# ভীম ভাবলো, 'এটা তো সামান্য একটা লেজ!' এই ভেবে সে এক
হাত দিয়েই লেজটাকে ধরে উঠাতে গেলো। কিন্তু অবাক করার কাণ্ড! সে লেজটাকে এক
চুল পর্যন্ত নাড়াতে পারলো না। তারপর সে তার দুই হাত দিয়ে, সমস্ত শক্তি
প্রয়োগ করে সেই একটা লেজ উঠানোর চেষ্টা করলো। কিন্তু লেজ সে এক বিন্দু
পরিমাণও নাড়াতে পারলো না। লেজে একটু কম্পনেরও সৃষ্টি করতে পারলো না। যার
দেহে সহস্র হস্তির ক্ষমতা, সে কিনা একটা ছোট্ট বানরের লেজ এদিক থেকে ওদিক
সরাতে পারছে না! ভীম মনে মনে খুব চিন্তিত ও ব্যাথিত হলো।
# এভাবে
অনেকক্ষণ চেষ্টা করতে করতে সে পুরপুরি ক্লান্ত হয়ে গেলো। তবুও হনুমানের
লেজকে এক চুল পরিমাণও নাড়াতে পারলো না। তার পর সে ব্যর্থ হয়ে করজোড়ে বলল,
"আপনি কে? আপনি নিশ্চয়ই কোনো সাধারণ বানর হতে পারেন না! আমার ধৃষ্টতার
জন্যে আমাকে ক্ষমা করুন।"
# হনুমান তখন ভীমকে নিজের পরিচয় দিয়ে
নিজের আসল স্বরূপ দেখালেন! এবং বললেন, "তুমি সম্পর্কে আমার ভ্রাতা হও! আমি
পবনপুত্র হনুমান, শ্রীরামের দাস। কুরুক্ষেত্র যুদ্ধে আমি তোমাদের সঙ্গে
থাকবো, অর্জুনের রথের ধ্বজায়। আর তোমাদের পক্ষে স্বয়ং পুরুষোত্তম ভগবান
শ্রীকৃষ্ণ আছেন! জয় তোমাদের নিশ্চিত হবেই জেনে রেখো।"
# এই কথার
পরে হনুমান অন্তর্হিত হলেন। আর মহাবলশালী দ্বিতীয় পান্ডব ভীম, বিশ্ময়,
লজ্জিত আর আত্মানন্দে বিমূঢ় স্তব্ধ হয়ে রইলো। মনে মনে পরমেশ্বর ভগবান
শ্রীকৃষ্ণকে বারংবার প্রণতি জানাতে লাগলো।
তথ্য সূত্র https://www.facebook.com/krishnakatha.comkrishna
পঞ্চ পান্ডবের মধ্যে শক্তিশালী এই চরিত্রটিকে নিয়ে বরাবরই আগ্রহ ছিলো। ধন্যবাদ দাদা এই সুন্দর কমিকসটি পোস্ট করার জন্য।
ReplyDeleteএটি ও গুরুনান স্কিপ করে গেছিলাম , তাই পরে পোস্ট করলাম ।
Deletethank you dada
ReplyDeleteThanxs Indra Da.
ReplyDelete