ইংরাজি তে এই কমিকস্ এর দুটি পৃথক প্রচ্ছদ হয়েছিল... কিন্তু ভিতরের অলংকরণ একই ছিল। বাংলায় একটি প্রচ্ছদ ই হয়েছিল ।
ইস আমি ভাবলাম আমি ছাড়াও এইবার কেউ ইন্দ্রজাল ১ - ৪২০ অবধি স্ক্যান ও এডিট করেছেন... 'বেঙ্গলি কমিকস্ লাভার' 'ফেসবুক গ্রুপ' এ সকলে খুব খুশি হোল... 'শুভাগত বন্দ্যোপাধ্যায়' জানালেন খুব কষ্ট করে ডাউনলোড করে দেখলেন পর্বতের মূষিক প্রসব... সেই আমার ব্লগের বই নিয়ে ... ইউ টিউব এ দিয়ে সস্তায় বাজি মাৎ করার এক কদর্য প্রচেষ্টা... এই 'মাইতি' না 'গাইতি' কি নাম যেন... কু কীর্তি টি তার... নিজের কিছু রদ্দি বই এর ভিডিও করে ডাউন লোড দিচ্ছে আমার জল ছাপ মারা বই গুলি...
জীবনে হয়তো স্ক্যানার এ হাত ও দিয়ে দেখেনি...ইউ টিউব এ আমি একটি কমেন্ট ও করে এসেছি দেখতে পাবেন ... স্ক্রিন শর্ট দিলাম । এই সব ছ্যাচড়া দের ক্ষমতা কোনদিন ও হবেনা ১-১০০ অবধি ইন্দ্রজাল সংরগ্রহ করার, তারপর তো স্ক্যান আছে, এডিট আছে, পি ডি এফ করা আছে... ব্যাক এন্ড এ আপলোড আছে...
তা 'গাইতি স্যার' ... নিজে কিছু করে দেখাও ... দম আছে ১০০ ঘরের বই ১০০০ - ২০০০ দিয়ে কেনার ?
বিশ্বাসঘাতক আর মীরজাফর এখন যেন সমার্থক। আধুনিক ইতিহাসে আমাদের জানা
বিশ্বাসঘাতকতার ঘটনাগুলির মধ্যে পলাশীর যুদ্ধের সেই ঘটনাই সকলেরই সমধিক
জানা। কিন্তু মধ্যযুগীয় ইতিহাসের আরেক বীরের সাথে সংশ্লিষ্ট হয়ে আছে আরেক
রাজার কথা, যিনি দেশ ও জাতির সাথে ঘাতকতা করেছেন, আর তার চরম শাস্তিও
পেয়েছেন।
১১৯১ সালে তরাইনের প্রথম যুদ্ধে মুখোমুখি হন দিল্লীর রাজপুত রাজা পৃথ্বীরাজ
চৌহান আর আফগান সুলতান মহম্মদ ঘোরী। ভারতীয়দের মধ্যে অনৈক্য বহুকাল ধরেই
এক জ্বলন্ত সমস্যা,কাজেই বিদেশী শক্তির আক্রমণকে প্রতিহত করার বেলায় কোন
শক্তিজোটই গঠন হয়নি।সুলতান ঘোরী যখন ভারত আক্রমণ করেন তখন রাজস্থানের চৌহান
সম্রাট বীর পৃথ্বীরাজ ব্যতীত আর কেউ দেশমাতৃকার সম্মান রক্ষার্থে রুখে
দাঁড়াননি।পাশে ছিলেন আরেক রাজপুত বীর সংগ্রাম সিং। ১১৯২ এর খ্যাতনামা
তরাইনের প্রথম যুদ্ধে জয়লাভ করেন পৃথ্বীরাজ, কিন্তু ঘোরীকে মুক্তি দেন।
ঘোরী আফগানিস্তান ফিরে যান ঠিকই, কিন্তু পরাজয়ের যন্ত্রনা ও শত্রুপক্ষের কৃপাপূর্ণ মুক্তি তাঁকে অসম্ভব লাঞ্ছিত করেছিল, কাজেই মনের মধ্যে জ্বলছিল প্রতিশোধের আগুন। আর সেই আগুনে ঘৃতাহুতি দিচ্ছিল তাঁর মনোজাত অসন্তোষ। চরম ক্রোধে ঘোরী ঠিক করেন, প্রতিশোধ নিতেই হবে। কিন্তু তিনি জানতেন, পৃথ্বীরাজের নেতৃত্বাধীন রাজপুত শক্তিকে পরাজিত করা মুখের কথা নয়।
কাজেই রাজপুতানার অন্তর্দাহকে ব্যবহার করার দিকে এগোন তিনি, আর গ্রহণ করেন রাষ্ট্রবিজ্ঞানের 'শত্রুর শত্রু আমার মিত্র' নীতি, হাল আমলের নেতাজী, হিটলার, মুসোলিনি বা আরো বহু রাষ্ট্রনায়কই যা গ্রহণ করেছেন।
ঘোরী আফগানিস্তান ফিরে যান ঠিকই, কিন্তু পরাজয়ের যন্ত্রনা ও শত্রুপক্ষের কৃপাপূর্ণ মুক্তি তাঁকে অসম্ভব লাঞ্ছিত করেছিল, কাজেই মনের মধ্যে জ্বলছিল প্রতিশোধের আগুন। আর সেই আগুনে ঘৃতাহুতি দিচ্ছিল তাঁর মনোজাত অসন্তোষ। চরম ক্রোধে ঘোরী ঠিক করেন, প্রতিশোধ নিতেই হবে। কিন্তু তিনি জানতেন, পৃথ্বীরাজের নেতৃত্বাধীন রাজপুত শক্তিকে পরাজিত করা মুখের কথা নয়।
কাজেই রাজপুতানার অন্তর্দাহকে ব্যবহার করার দিকে এগোন তিনি, আর গ্রহণ করেন রাষ্ট্রবিজ্ঞানের 'শত্রুর শত্রু আমার মিত্র' নীতি, হাল আমলের নেতাজী, হিটলার, মুসোলিনি বা আরো বহু রাষ্ট্রনায়কই যা গ্রহণ করেছেন।
সেইসময় কনৌজ ও বারাণসীর অপর রাজপুত রাজা, গাড়োয়াল সম্রাট জয়চন্দ্রের সাথে
পৃথ্বীরাজ চৌহানের শত্রুতার কাহিনী ছিল সুপরিচিত। বস্তুত, জয়চন্দ্রের কন্যা
সংযুক্তা ও পৃথ্বীরাজের মধ্যেকার প্রেমের সম্পর্কের আগাগোড়া বিরোধী ছিলেন
জয়চন্দ্র। এবিষয়ে কন্যার সাথে বারংবার মতবিরোধ হয়
তাঁর।এমতাবস্থায় কন্যার
স্বয়ম্বর সভায় পৃথ্বীরাজকে আহ্বান না করে তাকে অপমানও করেন তিনি। কিন্তু,
সেইসময়ের প্রচলিত প্রথানুযায়ী, রাজারা তাঁদের পছন্দের রমণীকে 'হরণ' করে
নিজের বীরত্বের প্রমাণ দিয়ে বিবাহের পথ প্রস্তুত করবেন। বীর পৃথ্বীরাজ
সংযুক্তাকে বীরত্বপূর্বক দিল্লীতে নিয়ে এসে সেই রাজপ্রথার পালন করেন। তাঁর
বীরত্ব জয়চন্দ্রকে বুঝিয়ে দেয়, পৃথ্বীরাজের মোকাবিলার জন্য তাঁকে তৃতীয়
শক্তির সাহায্য নিতে হবে।
কাজেই কনৌজ সম্রাট জয়চন্দ্র ও আফগান সুলতান মহম্মদ ঘোরীর মধ্যে সংযোগ
স্থাপন হয়। ১১৯২ সালে তরাইনের দ্বিতীয় যুদ্ধে পৃথ্বীরাজ চৌহান পরাস্ত হন
তাঁর একদা ক্ষমাপ্রাপ্ত সুলতান ঘোরী এবং শ্বশুর তথা স্বজাত জয়চন্দ্রের
কাছে। শোনা যায়, ২৬ বছরের বীরযুবক পৃথ্বীরাজকে অন্ধ করে হত্যা করা হয়।
কিন্তু তবুও বিদেশী শক্তির বিরুদ্ধে শানিত অস্ত্রাঘাত তাঁকে অমর করে
রেখেছে,সেইসাথে বিমূর্ত প্রেমের এক অমর প্রতীক তিনি। পৃথ্বীরাজ-সংযুক্তার
এই প্রেমকাহিনী শুধুই সাহিত্য বা ফিল্ম-টেলিফিল্মের উপজীব্যই নয়, এই
প্রেমগাঁথা তরাইনের দ্বিতীয় যুদ্ধকে ত্বরান্বিত করে ভারতীয় ইতিহাসে এক
তাৎপর্যপূর্ণ যুগের সূচনা করেছে : ভারত ইতিহাসের 'মধ্যযুগ',যা বিস্তৃত ছিল
পলাশীর যুদ্ধ (১৭৫৭) পর্যন্ত। বস্তুত, ১১৯২ সালের এই ভবিতব্য যুদ্ধই ভারত
ইতিহাসে প্রাচীন যুগ এবং মধ্যযুগের সন্ধিক্ষণ, আর সেই সাথে দিল্লীতে ঘোর
বংশের সাম্রাজ্যস্থাপনের কারণে সুলতানি সাম্রাজ্য এক বিশেষ মাত্রা লাভ করে।
কিন্তু ইতিহাস বিশ্বাসঘাতককে কদাচ ক্ষমা করে! এরপর জয়চন্দ্র ভেবেছিলেন
পৃথ্বীরাজ তথা চৌহান বংশের পতনের মাধ্যমে তিনিও বিপন্মুক্ত হলেন, কিন্তু
তাঁর পথের কাঁটা যে আরো জাঁকিয়ে বসল,সেটা তিনি বুঝতে পারেনইনি। ঠিক এক বছর
পরের ঘটনা। মহম্মদ ঘোরীর এই সাম্রাজ্যবিস্তারের পরম্পরা তাঁর উত্তরসূরীরা
মান্য করতে থাকেন।কাজেই দিল্লীকে কেন্দ্রিভূত করে পত্তন লাভ করা সুলতানাত
আরো বৃহত্তর হতে থাকে।ধীরে ধীরে তাঁদের সাম্রাজ্যের পরিসীমা দক্ষিণে বাড়তে
বাড়তে একসময় কনৌজের সীমানায় এসে পৌঁছোয়। জয়চন্দ্র ভাবেন,যে বীজবৎ
সাম্রাজ্যকে তিনি ভূমিভেদে সাহায্য করেছিলেন, আজ তা বিশাল মহীরুহে পরিণতি
লাভ করে তাঁকে নিশ্চয়ই বৃক্ষতলে ছত্রছায়া প্রদান করবে।কিন্তু হায়!
কুতুবউদ্দিন আইবেক, মহম্মদ ঘোরী ও অন্যান্য সেনাপতিদের নেতৃত্বাধীন ঘোর
শক্তি জয়চন্দ্রের সাথে কোনরূপ বাক্যালাপেই রাজি ছিল না, তাঁরা স্রেফ তাঁদের
সাম্রাজ্য ও ঔপনিবেশিক শক্তিবৃদ্ধির জন্য সমস্ত প্রকার নিধনে রাজী ছিলেন।
কাজেই ১১৯৩ সালে অধুনা ফতেপুরে তাঁরা জয়চন্দ্রের সাথে যুদ্ধে অবতীর্ণ হন,
স্বার্থসিদ্ধিবাজ জয়চন্দ্র যুদ্ধক্ষেত্রে পরাজিত হয়ে পলায়নে বাধ্য হন,
কিন্তু পারেননি। দেশ,জাতি, মাতৃভূমির এই বিশ্বাসঘাতকের অসাড় দেহ তলোয়ারের
কোপে লুটিয়ে পড়ল ফতেপুরের রণক্ষেত্রে। সুলতানি সাম্রাজ্য দখল করল কনৌজ,
বারাণসী,গাড়োয়াল সহ বিভিন্ন অঞ্চল, যেগুলি বর্তমানে উত্তরপ্রদেশ,
উত্তরাখণ্ড, বিহারে বিক্ষিপ্তভাবে রয়েছে।
রাজপুতানার ইতিহাসে এটি অতিপ্রসিদ্ধ একটি কাহিনী। পৃথ্বীরাজ চৌহানের
মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে তাঁর পত্নী তথা কনৌজের রাজকন্যা, জয়চন্দ্র-দুহিতা
সংযুক্তা জহরব্রত পালন করেন। যুদ্ধক্ষেত্রে বীরগতিপ্রাপ্ত হাজারো যোদ্ধার
পত্নীরাও আগুনে ঝাঁপ দিয়ে একইভাবে আত্মাহুতি দেন।
না রাজা তাঁর স্ত্রীকে পেলেন দেশের জন্য বলিদান দিয়ে, না নিজেকে বাঁচালেন শত্রুকে ক্ষমা করে, না পিতা তাঁর কন্যাকে পেলেন জামাতাকে হত্যা করে, না পারলেন সু-কন্যার প্রাণই বাঁচাতে, না পারলেন নিজেকে বাঁচাতে। অমর এই প্রেমগাঁথা শুধু তিনটি শীর্ষবিন্দুতে থাকা পিতা-কন্যা-সম্রাটের ত্রিকোণকেই ধ্বংস করল না, ইতিহাসকে এক নতুন মোড় দিল।
না রাজা তাঁর স্ত্রীকে পেলেন দেশের জন্য বলিদান দিয়ে, না নিজেকে বাঁচালেন শত্রুকে ক্ষমা করে, না পিতা তাঁর কন্যাকে পেলেন জামাতাকে হত্যা করে, না পারলেন সু-কন্যার প্রাণই বাঁচাতে, না পারলেন নিজেকে বাঁচাতে। অমর এই প্রেমগাঁথা শুধু তিনটি শীর্ষবিন্দুতে থাকা পিতা-কন্যা-সম্রাটের ত্রিকোণকেই ধ্বংস করল না, ইতিহাসকে এক নতুন মোড় দিল।
Dada apnar kaj ekta shilper porjaye chole gache. Keu churi kore er dhare kacheo aste parbe na.
ReplyDeleteThank you so much for another gem.
অনেক ধন্যবাদ।
DeleteINDRAJAL COMICS NO 52 DOWNLOAD HOCHCHE NA. Please help korun. Arekbar mediafire link ta dekhun. Ami post er link dilam....http://indraindrajal.blogspot.com/2013/09/post-57-bengali-indrajal-comics-no52.html?m=1
ReplyDeleteঠিক করে দেবো। একটু সময় লাগবে।
Deleteআপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। দাদা
DeletePost #57 no..Ektu dekhun dada.
ReplyDeleteহ্যা 52 নং ইন্দ্রজাল এ প্রবলেম আছে।
Deleteহ্যা। দাদা
Deleteনিজের করা স্ক্যান ও এডিট, অন্য কোনও ব্লগ বা সাইটে অন্য কারো নাম দিয়ে করা দেখলে যে কতটা খারাপ ও কষ্ট লাগে, একমাত্র যারা স্ক্যান ও এডিট করেন তারাই এর মর্ম বুঝবেন। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ এই বিরল অমর চিত্র কথা কমিক্সগুলো আপলোড করার জন্য।
ReplyDelete❤❤
Deleteদিবেন্দু বিকাশ মাইতি ঘৃণিত কাজ করেছেন। ন্যূনতম মনুষত্যবোধ তার নেই বোঝাই যাচ্ছে। কোনো ভালো কাজ করতে গেলে এধরনের কিছু সুযোগসন্ধানী লোক সব সময়ই সুবিধা নিতে তৎপর থাকে। তবেে এদের দৌরাত্ম্য সীমিত। এরা আপনার ভালো কাজগুলোকে কোনোভাবেই মলিন করতে পারবে না। পৃথ্বীরাজ চৌহানকে নিয়ে যে লেখাটা লিখেছেন তা বস্তুনিষ্ঠ, গোছালো ও তথ্যবহুল। আপনার এ লেখাগুলোই আমার প্রধান আকর্ষণ যার টানে এখানে ছুটে আসি। অনেক ধন্যবাদ দাদা।
ReplyDeleteঅনেক ধন্যবাদ।
Deletedada je ja kare koruk, bengali indrajal likhe google search korle top-e ke ase akbar dekhe nin ... seta ke atkabe?
ReplyDeleteঠিক। ধন্যবাদ।
Deleteamar mone hay abilambe eta niye protibad haoya uchit.indra da eteo apnar kretito kichu kom habe na.jee churi koreche sei sasti se pabe.apni amader mone chilen thakben.apnar kritito kono din kom hobe na.
ReplyDeleteঅনেক ধন্যবাদ।
Deleteভদ্রলোক দেখছি লকডাউনে ভালোই ডাকাতি চালিয়েছেন। দুঃখ পাবেন না ইন্দ্রবাবু এইসব নীচ পাপীদের কথা ভেবে। এইসব জঞ্জাল সর্বত্র। আপনি ইন্দ্রজালের বাংলা ব্লগকে অন্য মাত্রায় নিয়ে গেছেন। আপনাকে এরা ছুঁতে পারবে না। ব্লগ চালিয়ে যান। অমূল্য রত্নের উপরতো চোর, ডাকাত, পকেটমারদের লোভ থাকবেই।
ReplyDelete😁😁😁🤣😂😃
Deleteইন্দ্রবাবু, আপনার ই-মেল ঠিকানাটা এখানে একটু জানাবেন । আপনার জন্য একটা চমক আছে ।
ReplyDeleteIndra.indrajal@gmail.com
Deleteমিডিয়াফায়ারে ডাউনলোড কি খুব স্লো চলছে সবারই? নাকি আমার কমপিউটারেই সমস্যা?! ACK25 টা 10KBPS এর ওপরে উঠছেই না!
ReplyDeleteAnti virus বা Fire wall এর জন্য হতে পারে।
DeleteThanxs Indra Da.
ReplyDeletewelcome.
Delete