ডাউনলোড করুন
স্ক্যান ও এডিট- পিব্যান্ডস
অনেকে ভাবছেন খণ্ড ২১ সংখ্যা ১৬ পর বাকি বই গুলি না দিয়ে কেন সংখ্যা ৩১ এ চলে গেলাম... কারন - সংখ্যা ১৫ শেষ হয়ে ছিল ব্রুসের সাগর দেবীর অভিশাপ... শুকতারায় ব্রুসের এই দুটি গল্পই একসাথে প্রকাশিত হয়েছিলো... আসলে একটি গল্পই ইন্দ্রজালে দুটি হয়ে প্রকাশিত হয়েছিল।
স্ক্যান ও এডিট- পিব্যান্ডস
অনেকে ভাবছেন খণ্ড ২১ সংখ্যা ১৬ পর বাকি বই গুলি না দিয়ে কেন সংখ্যা ৩১ এ চলে গেলাম... কারন - সংখ্যা ১৫ শেষ হয়ে ছিল ব্রুসের সাগর দেবীর অভিশাপ... শুকতারায় ব্রুসের এই দুটি গল্পই একসাথে প্রকাশিত হয়েছিলো... আসলে একটি গল্পই ইন্দ্রজালে দুটি হয়ে প্রকাশিত হয়েছিল।
ব্রুস লি ও তার পুত্র ব্রানডনের রহস্যজনক মৃত্যুকাহিনী =>
মার্শাল আর্টের কিংবদন্তী ব্রুস লিকে নিয়ে পূর্বের লেখায় তার কর্মময় জীবনের নানা উত্থান-পতনের কাহিনী প্রকাশিত হয়েছে। ব্রুস লির রহস্যময় জীবনের মতোই তার মৃত্যুকে ঘিরেও রয়েছে নানা রহস্য। শুধু কি তা-ই? তার সন্তান ব্রানডন লির অল্প বয়সে রহস্যময় মৃত্যুও নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে ভক্ত-অনুরাগীদের মনে।
মাত্র ৩২ বছর বয়সে ব্রুস লির মৃত্যু হয় হংকংয়ে এবং তখনই এই মৃত্যু নিয়ে নানা বিতর্কের সূত্রপাত ঘটে। ১৯৭৩ সালের মে মাসে একটি চলচ্চিত্রে ডাবিংয়ের সময় ব্রুস লির মস্তিষ্ক হঠাৎই ফুলে উঠতে শুরু করে, সঙ্গে শুরু হয় তীব্র মাথাব্যথা। চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় যাকে বলা হয় সেরেব্রাল এডেমা। ডাক্তারদের সার্বিক চেষ্টায় লি মস্তিষ্কের সমস্যা থেকে মুক্তি পান।
কিন্তু তা দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। কয়েক সপ্তাহের মধ্যে মস্তিষ্কের ফুলে ওঠা কমাতে সক্ষম হলেও ছয় সপ্তাহেরও কম সময়ের মধ্যে তা আবার মারাত্মক হয়ে ফিরে আসে।
১৯৭৩ সালের ২০ জুলাই ব্রুস লি গিয়েছিলেন তার সহ অভিনেত্রী বেটি টিং পেইর কাউলুন টংয়ের বাড়িতে। উদ্দেশ্য ছিল তার আসন্ন একটি ছবির চরিত্র নিয়ে নায়িকার সঙ্গে আলাপ করা। তখন হঠাৎ মাথাব্যথা শুরু হয় তার। বেটি ব্রুসকে ইকুয়াজেসিক নামে একটি পেইন কিলার খেতে দেন। ব্রুস বেডরুমে চলে যান বিশ্রাম নিতে। কিন্তু ঘুম থেকে আর জাগছেন না দেখে তাকে কুইন এলিজাবেথ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ডাক্তাররা তার জ্ঞান ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। এর কয়েক ঘন্টা পর ঘোষণা করা হয় যে ব্রুস লি মারা গেছেন।
তার এই অকালমৃত্যু নিয়ে যে রহস্যময়তার জন্ম হয়েছিল তা আজও রহস্যই রয়ে গেছে। তার মৃত্যু রহস্য নিয়ে অনেক অনুসন্ধান করা হয়েছে, এখনো চলে নানা গুঞ্জন।
কেউ কেউ বলেন যে,ড্রাগ নেওয়ার কারণেই ব্রুস লি’র মৃত্যু হয়েছে। আবার কারো কারো মন্তব্য ছিল মস্তিষ্কে ইনজুরির কারণেই ব্রুস লি মারা গেছেন। অনেকে আবার এমন মন্তব্য করেছেন যে অস্বাভাবিক ডায়েটের কারণেই তার মৃত্যু হয়েছিল। আবার কারো ধারণা ছিল যে মার্শাল আর্টের অদ্ভুত আচার-অনুষ্ঠানই ব্রুসের মৃত্যুর জন্য দায়ী।
প্রাথমিক ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী, পেইনকিলারের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার দরুন এলার্জির কারণে লি’র মৃত্যু হয়েছে বলে জানানো হয়। লি এই ওষুধ মাথাব্যথা থেকে মুক্তি পেতে সেবন করতেন। তবে তার মৃত্যুর সরকারি রিপোর্টে বলা হয়েছে আকস্মিক দুর্ঘটনায় তার মৃত্যু হয়েছিল।
অবশ্য কয়েকজন ডাক্তারের অভিমত এই যে, তার মৃত্যু হয়েছে ক্যানাবিস পয়জনিং এর কারণে। ক্যানাবিস হলো মারিজুয়ানা এবং হাশিসের মতো ড্রাগ, যার কারণে ব্রুসের মস্তিষ্ক ফুলে উঠেছিল। তবে সেই রিপোর্ট বিশেষজ্ঞদের বিস্মিত করেছিল। ড. মিলটন হালপার্ন নামে নিউইয়র্কের এক বিশেষজ্ঞ ডাক্তার বলেছিলেন, ক্যানাবিসে বিষাক্ত কিছু থাকতে পারে বলে তার জানা নেই। খুব বেশি ডোজের ক্যানাবিস সেবনে বিষক্রিয়ার সৃষ্টি হতে পারে।
কিন্তু বেশি ডোজের ক্যানাবিস শুধুমাত্র গবেষণার কাজেই ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
অনেকের ধারণা ছিল ব্রুস লির মস্তিষ্ক ইকুয়াজোসিক অথবা ডোলানেক্সের প্রতিক্রিয়ায় ফুলে উঠতে পারে। ডোলানেক্স ওষুধটি তিনি পিঠের ব্যথার উপশমে খেতেন।
ডাক্তাররা বলেছেন, কিছু প্রাকৃতিক অসুস্থতার জন্যেও মস্তিষ্ক ফুলে ওঠা অসম্ভব কিছু নয়। তাদের ভাষায় ব্রুস লির মস্তিষ্ক স্পঞ্জের মতো ফুলে গিয়েছিল। তবে ব্রুসের ভক্তরা সে ব্যাখ্যা মেনে নিতে পারেননি। তাদের মতে খুব বেশি পরিশ্রমের ধকল হয়তোবা তিনি সইতে পারেন নি। তাছাড়া লি ছিলেন স্বাস্থ্যপাগল মানুষ। সময় পেলেই নিজের শরীরটাকে সুগঠিত রাখতেই নিজের বিশেষ সব যন্ত্রপাতিতে সজ্জিত জিমনেশিয়ামে ঢুকে পড়তেন।
অনেকে বলে থাকেন, ব্রুস লি মারা গেছেন তার অদ্ভুত ডায়েটিং এর কারণেই। তিনি কাঁচা মাংস, কাঁচা ডিম এবং দুধ খেতেন। পান করতেন উচ্চ প্রোটিন সমৃদ্ধ ড্রিঙ্ক।
গুজব শোনা যায় যে, চলচ্চিত্র পরিচালক ও মাফিয়াদের নির্মম লোভের শিকার হয়েছেন ব্রুস লি। আর এসব পরিচালকই তার মৃত্যুর জন্য দায়ী। ব্রুসের অবিশ্বাস্য জনপ্রিয়তা এবং বক্স অফিসের বিপুল চাহিদা দেখে ঈর্ষাপরায়ণ হয়ে উঠেন কিছু পরিচালক।
ব্রুসের ছবির সঙ্গে তারা পেরে উঠছিলেন না। হংকংয়ের মাফিয়ারাও লি’র উপর ক্ষিপ্ত ছিল। ব্রুসকে পৃথিবীর বুক থেকে সরিয়ে দেওয়া ছাড়া তাদের আর কোনো পথও খোলা ছিল না। এজন্যে ভাড়াটে খুনিও নিয়োগ করা হয়েছিল।
ধারণা করা হয় বেটি টিং পে, যার অ্যাপার্টমেন্টে ব্রুস লি অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন, সে-ই এই হত্যাকান্ডের সাথেই জড়িত। কিন্তু এর কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য প্রমাণ পাওয়া যায় নি।
ব্রুস লি-র মৃত্যুর কারণ নিয়ে সবচেয়ে জোরালো ব্যাখ্যা দেওয়া হয় মার্শাল আর্টের ‘দ্য আয়রন ফিস্ট’ নামের একটি আচার-অনুষ্ঠানকে।
আইরন ফিস্ট মার্শাল আর্টের এক পুরাতন কৌশল যার আঘাতে একজন ধীরে ধীরে মৃত্যুর মুখে পতিত হন। অনেকে একে ‘ডেথ টাচ্’ও বলে থাকেন। মার্শাল আর্টের অভিজ্ঞ, বৃদ্ধ পন্ডিতরা ব্রুসের উপর খুব একটা খুশি ছিলেন না।
তাদের অভিযোগ ছিল, লি নাকি সিনেমায় প্রাচীন মার্শাল আর্টের অনেক গুপ্ত রহস্য ফাঁস করে দিচ্ছিলেন। মার্শাল আর্টের নামি-দামি এসব শিক্ষা গুরুরা প্রতিনিধি পাঠিয়ে ব্রুস লি-কে সিনেমায় মার্শাল আর্টের সেসব কলাকৌশল দেখানো থেকে বিরত থাকতে বলেন।
কিন্তু ব্রুস লি সেই প্রতিনিধির কথায় আমল দেননি। ঐ প্রতিনিধিও ছিলেন মার্শাল আর্টের একজন অভিজ্ঞ শিক্ষক। তিনি তখন ব্রুসের কাঁধে হাত রেখে প্রয়োগ করেছিলেন ‘দ্য আয়রন ফিস্ট’।
ঐ প্রতিনিধি চলে যাওয়ার কয়েক সপ্তাহ পর থেকেই ব্রুস লির শরীর খারাপ হতে শুরু করে। মার্শাল আর্টের অনেক ছাত্র এবং শিক্ষকের ধারণা আয়রন ফিস্ট বা লৌহ মুষ্টির শিকার হতে হয়েছিল ব্রুসকে।
ব্রুস লির মৃত্যু নিয়ে আরেকটি কাহিনী খুবই প্রচলিত। তার পরিবারের অনেক সদস্যেরই ধারণা তার মৃত্যুর সাথে পরিবারের অভিশাপ জড়িত। এই অভিশাপের শুরু ব্রুসের বাবাকে ঘিরে।
একবার ব্রুস লির বাবা লি হোয়ে চুয়েন কিছু চীনা ব্যবসায়ীকে ক্ষুব্ধ করে তোলেন। চীনা ব্যবসায়ীরা লিকে অভিশাপ দেন এই বলে যে, তাদের পরিবারে যতজন পুরুষ সদস্য জন্ম নেবে, সবাই অকালে মৃত্যুবরণ করবে।
শুরুতে লির পরিবার বিষয়টি গুরুত্ব না দিলেও ব্রুস লির বড় ভাইয়ের জন্মের পরপরই মৃত্যু তাদের বেশ ভাবিয়ে তোলে। অশুভ শক্তিকে ফাঁকি দেওয়ার জন্য ছোটবেলায় লির পিতামাতা তাকে ‘ফান’ (‘ফান’ শব্দটি মেয়েদের নামের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়ে থাকে) নামে ডাকতেন।
কিন্তু এরপরও অশুভ শক্তিকে জয় করা যায়নি। ব্রুস লি ও তার ছেলের অকাল মৃত্যুর জন্য ব্রুসের পরিবারের সদস্যরা এই অভিশাপের কথাই বলেন।
ব্রুস লির মৃত্যু নাড়া দিয়েছিল হংকং থেকে হলিউড পর্যন্ত। এই তরুণ অভিনেতা এবং মার্শাল আর্ট শিল্পীর মৃত্যুর খবরে সারা বিশ্ব জুড়েই শোকের ছায়া নেমে এসেছিল। এভাবে একজন নায়কের মৃত্যু মেনে নিতে পারেনি তার ভক্তকুল। আর তাই শুধুমাত্র তার কফিন দেখার জন্য রাস্তায় জড়ো হয়েছিল হাজার হাজার শোকার্ত মানুষ। দু’জায়গায় ব্রুস লি’র অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন হয়।
আগে হংকং এ এবং পরে সিয়াটেল-এ। দু’জায়গাতেই প্রিয় নায়ককে শেষবারের মতন দেখবার জন্য কমপক্ষে ত্রিশ হাজার লোকের ভিড় হয়। ব্রুস কে কবর দেওয়ার সময় বাজানো হয় ‘দ্য ইম্পসিবল ড্রিম’ এবং ‘মাই ওয়ে’ গান দুটি।
ব্রুস লির মৃত্যুর পরেও তার ছবিগুলো লাখ লাখ ডলার সংগ্রহ করতে সমর্থ হয়েছে। মৃত্যুর আগে তিনি ‘এন্টার দ্য ড্রাগন’ ছবিটি শেষ করে গিয়েছিলেন। এটি ওয়ার্নার ব্রাদার্সের সর্বকালের সেরা একটি হিট ছবি বলে সর্বজনবিদিত।
এবার আসা যাক ব্রুস লির সন্তান ব্রানডন লির মৃত্যু প্রসঙ্গে। বাবার মতোই মাত্র ২৮ বছর বয়সে অকাল মৃত্যু ঘটে ব্রানডনের। অনেকে তার এই মৃত্যুর ঘটনাকে পূর্বলিখিত বলে মনে করেন। আবার অনেকে বলেন পরিকল্পিত।
পারিবারিক অভিশাপের সাথে সাথে ব্র্যানডনের মৃত্যুর পূর্বাভাস দিয়ে গিয়েছিল নাকি ব্রুস লিরই একটি ছবি, যার নাম ‘Game of Death’। ব্রানডনের মৃত্যুর ১৫ বছর আগে নির্মিত এই ছবিতে ব্রুস লির চরিত্রটি ছিল এক অভিনেতার, যেখানে ব্রুস লি একটি ছবিতে অভিনয়ের সুযোগ পেয়েছেন। সেই ছবিতে অভিনয় করতে গিয়ে ভিলেন নায়ককে নকল পিস্তল দিয়ে গুলি করে আঘাত করার কথা। কিন্তু যেকোনোভাবে নকল পিস্তলের পরিবর্তে ভিলেনের কাছে আসল কার্তুজভরা পিস্তল চলে আসে। আর তার গুলিতে নায়কের মৃত্যু হয়। হুবহু একই ঘটনার্ পুনরাবৃত্তি ঘটে ১৫ বছর পর ব্রানডন লির জীবনেই।
ব্রুস লির একমাত্র সন্তান ব্রানডন লি কৈশোরে বাবার মতোই একগুঁয়ে স্বভাবের ছিলেন। দু’বার দুটি হাই স্কুল থেকে তাকে বের করে দেওয়া হয়। ফিল্মে ক্যারিয়ার গড়তে বাবার মতো পথ ধরেছিলেন ব্রানডনও। তাই প্রথমে এশিয়ায় চলে আসেন, পরে আবার ফিরে যান আমেরিকায়।
নব্বইয়ের দশকের প্রথমভাগে ইউনিভার্সাল পিকচার ব্রুস লির জীবনী নিয়ে ‘ড্রাগন দ্য ব্রুস লি স্টোরি’ নামে একটি ছবি নির্মাণ করে। এই ছবিতে ব্রুসের ছেলে ব্রানডন লির অভিনয় করার কথা থাকলেও ২৫ বছরের ব্রানডন তার বাবার ভূমিকায় অভিনয় করতে রাজি হননি।
অবশেষে হাওয়াইয়ান অভিনেতা জেসন স্কট ‘লি’ চরিত্রটিতে অভিনয় করেন।
১৯৯১ সালে ব্রানডনের প্রথম হলিউড ছবি ‘শো ডাউন ইন লিটল কো’ মুক্তি পায়। এই ছবিটি বেশ প্রশংসিত হয়। তখন বিভিন্ন চলচ্চিত্রে অভিনয়ের আরো বেশি সুযোগ পেতে থাকেন ব্রানডন লি।
১৯৯৩ সালে ‘দ্য ক্রো’ নামের একটি বড় বাজেটের ছবিতে অভিনয়ের সুযোগ পান ব্রানডন। ছবির কাহিনী ছিল একজন খুন হয়ে যাওয়া স্টারকে নিয়ে, যিনি অতিপ্রাকৃত শক্তির সাহায্যে পাখি হয়ে ফিরে এসে নিজের এবং বান্ধবীর হত্যার প্রতিশোধ নেবে। কিন্তু এই ছবিটি শেষ হওয়ার আগেই ঘটতে থাকে নানা অদ্ভুত ঘটনা।
একজন টেকনিশিয়ান আগুনে পুড়ে সাঙ্ঘাতিকভাবে আহত হন। দলের অন্য একজনের হাত কেটে যায় স্ক্রু ড্রাইভারে। উত্তর ক্যারোলিনার উইলমিংটনে ছবির শুটিং চলাকালে সেখানে প্রবল শীত পড়তে শুরু করে, সঙ্গে চলতে থাকে ঝড়-বৃষ্টি। ছবিটির যখন শেষ পর্যায়, তখনই ঘটে মারাত্মক সেই দুর্ঘটনা।
শুটিং শেষ হতে আর কয়েকদিন মাত্র বাকি।ব্রানডনকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ার কথা ছিল একটি দৃশ্যে। এসব দৃশ্যে সাধারণত খালি বন্দুক ব্যবহার করা হয়ে থাকে। কিন্তু সেদিন ঐ বন্দুকের পয়েন্ট ৪৪ ক্যালিবার গুলি ভরা ছিল। সেই বুলেট এসে বিদ্ধ করে ব্রানডনকে।
কে বা কারা সত্যিকারের বুলেট ভরে রেখে গিয়েছিল সেই পিস্তলে, তার উত্তর এখনো খুঁজে পাওয়া যায়নি। লস এঞ্জেলসে অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার পর ব্রুসের কবরের পাশেই ব্রানডনকে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়।
ব্রুস লি’র রহস্যময় মৃত্যুর মতোই তার সন্তান ব্রানডনের মৃত্যুও রহস্যের আড়ালেই রয়ে গেলো। আজ পর্যন্ত অনুদঘাটিতই রয়ে গেলো সময়ের সেরা দুই অভিনেতার মৃত্যু রহস্য।
মার্শাল আর্টের কিংবদন্তী ব্রুস লিকে নিয়ে পূর্বের লেখায় তার কর্মময় জীবনের নানা উত্থান-পতনের কাহিনী প্রকাশিত হয়েছে। ব্রুস লির রহস্যময় জীবনের মতোই তার মৃত্যুকে ঘিরেও রয়েছে নানা রহস্য। শুধু কি তা-ই? তার সন্তান ব্রানডন লির অল্প বয়সে রহস্যময় মৃত্যুও নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে ভক্ত-অনুরাগীদের মনে।
মাত্র ৩২ বছর বয়সে ব্রুস লির মৃত্যু হয় হংকংয়ে এবং তখনই এই মৃত্যু নিয়ে নানা বিতর্কের সূত্রপাত ঘটে। ১৯৭৩ সালের মে মাসে একটি চলচ্চিত্রে ডাবিংয়ের সময় ব্রুস লির মস্তিষ্ক হঠাৎই ফুলে উঠতে শুরু করে, সঙ্গে শুরু হয় তীব্র মাথাব্যথা। চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় যাকে বলা হয় সেরেব্রাল এডেমা। ডাক্তারদের সার্বিক চেষ্টায় লি মস্তিষ্কের সমস্যা থেকে মুক্তি পান।
কিন্তু তা দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। কয়েক সপ্তাহের মধ্যে মস্তিষ্কের ফুলে ওঠা কমাতে সক্ষম হলেও ছয় সপ্তাহেরও কম সময়ের মধ্যে তা আবার মারাত্মক হয়ে ফিরে আসে।
১৯৭৩ সালের ২০ জুলাই ব্রুস লি গিয়েছিলেন তার সহ অভিনেত্রী বেটি টিং পেইর কাউলুন টংয়ের বাড়িতে। উদ্দেশ্য ছিল তার আসন্ন একটি ছবির চরিত্র নিয়ে নায়িকার সঙ্গে আলাপ করা। তখন হঠাৎ মাথাব্যথা শুরু হয় তার। বেটি ব্রুসকে ইকুয়াজেসিক নামে একটি পেইন কিলার খেতে দেন। ব্রুস বেডরুমে চলে যান বিশ্রাম নিতে। কিন্তু ঘুম থেকে আর জাগছেন না দেখে তাকে কুইন এলিজাবেথ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ডাক্তাররা তার জ্ঞান ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। এর কয়েক ঘন্টা পর ঘোষণা করা হয় যে ব্রুস লি মারা গেছেন।
তার এই অকালমৃত্যু নিয়ে যে রহস্যময়তার জন্ম হয়েছিল তা আজও রহস্যই রয়ে গেছে। তার মৃত্যু রহস্য নিয়ে অনেক অনুসন্ধান করা হয়েছে, এখনো চলে নানা গুঞ্জন।
কেউ কেউ বলেন যে,ড্রাগ নেওয়ার কারণেই ব্রুস লি’র মৃত্যু হয়েছে। আবার কারো কারো মন্তব্য ছিল মস্তিষ্কে ইনজুরির কারণেই ব্রুস লি মারা গেছেন। অনেকে আবার এমন মন্তব্য করেছেন যে অস্বাভাবিক ডায়েটের কারণেই তার মৃত্যু হয়েছিল। আবার কারো ধারণা ছিল যে মার্শাল আর্টের অদ্ভুত আচার-অনুষ্ঠানই ব্রুসের মৃত্যুর জন্য দায়ী।
প্রাথমিক ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী, পেইনকিলারের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার দরুন এলার্জির কারণে লি’র মৃত্যু হয়েছে বলে জানানো হয়। লি এই ওষুধ মাথাব্যথা থেকে মুক্তি পেতে সেবন করতেন। তবে তার মৃত্যুর সরকারি রিপোর্টে বলা হয়েছে আকস্মিক দুর্ঘটনায় তার মৃত্যু হয়েছিল।
অবশ্য কয়েকজন ডাক্তারের অভিমত এই যে, তার মৃত্যু হয়েছে ক্যানাবিস পয়জনিং এর কারণে। ক্যানাবিস হলো মারিজুয়ানা এবং হাশিসের মতো ড্রাগ, যার কারণে ব্রুসের মস্তিষ্ক ফুলে উঠেছিল। তবে সেই রিপোর্ট বিশেষজ্ঞদের বিস্মিত করেছিল। ড. মিলটন হালপার্ন নামে নিউইয়র্কের এক বিশেষজ্ঞ ডাক্তার বলেছিলেন, ক্যানাবিসে বিষাক্ত কিছু থাকতে পারে বলে তার জানা নেই। খুব বেশি ডোজের ক্যানাবিস সেবনে বিষক্রিয়ার সৃষ্টি হতে পারে।
কিন্তু বেশি ডোজের ক্যানাবিস শুধুমাত্র গবেষণার কাজেই ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
অনেকের ধারণা ছিল ব্রুস লির মস্তিষ্ক ইকুয়াজোসিক অথবা ডোলানেক্সের প্রতিক্রিয়ায় ফুলে উঠতে পারে। ডোলানেক্স ওষুধটি তিনি পিঠের ব্যথার উপশমে খেতেন।
ডাক্তাররা বলেছেন, কিছু প্রাকৃতিক অসুস্থতার জন্যেও মস্তিষ্ক ফুলে ওঠা অসম্ভব কিছু নয়। তাদের ভাষায় ব্রুস লির মস্তিষ্ক স্পঞ্জের মতো ফুলে গিয়েছিল। তবে ব্রুসের ভক্তরা সে ব্যাখ্যা মেনে নিতে পারেননি। তাদের মতে খুব বেশি পরিশ্রমের ধকল হয়তোবা তিনি সইতে পারেন নি। তাছাড়া লি ছিলেন স্বাস্থ্যপাগল মানুষ। সময় পেলেই নিজের শরীরটাকে সুগঠিত রাখতেই নিজের বিশেষ সব যন্ত্রপাতিতে সজ্জিত জিমনেশিয়ামে ঢুকে পড়তেন।
অনেকে বলে থাকেন, ব্রুস লি মারা গেছেন তার অদ্ভুত ডায়েটিং এর কারণেই। তিনি কাঁচা মাংস, কাঁচা ডিম এবং দুধ খেতেন। পান করতেন উচ্চ প্রোটিন সমৃদ্ধ ড্রিঙ্ক।
গুজব শোনা যায় যে, চলচ্চিত্র পরিচালক ও মাফিয়াদের নির্মম লোভের শিকার হয়েছেন ব্রুস লি। আর এসব পরিচালকই তার মৃত্যুর জন্য দায়ী। ব্রুসের অবিশ্বাস্য জনপ্রিয়তা এবং বক্স অফিসের বিপুল চাহিদা দেখে ঈর্ষাপরায়ণ হয়ে উঠেন কিছু পরিচালক।
ব্রুসের ছবির সঙ্গে তারা পেরে উঠছিলেন না। হংকংয়ের মাফিয়ারাও লি’র উপর ক্ষিপ্ত ছিল। ব্রুসকে পৃথিবীর বুক থেকে সরিয়ে দেওয়া ছাড়া তাদের আর কোনো পথও খোলা ছিল না। এজন্যে ভাড়াটে খুনিও নিয়োগ করা হয়েছিল।
ধারণা করা হয় বেটি টিং পে, যার অ্যাপার্টমেন্টে ব্রুস লি অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন, সে-ই এই হত্যাকান্ডের সাথেই জড়িত। কিন্তু এর কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য প্রমাণ পাওয়া যায় নি।
ব্রুস লি-র মৃত্যুর কারণ নিয়ে সবচেয়ে জোরালো ব্যাখ্যা দেওয়া হয় মার্শাল আর্টের ‘দ্য আয়রন ফিস্ট’ নামের একটি আচার-অনুষ্ঠানকে।
আইরন ফিস্ট মার্শাল আর্টের এক পুরাতন কৌশল যার আঘাতে একজন ধীরে ধীরে মৃত্যুর মুখে পতিত হন। অনেকে একে ‘ডেথ টাচ্’ও বলে থাকেন। মার্শাল আর্টের অভিজ্ঞ, বৃদ্ধ পন্ডিতরা ব্রুসের উপর খুব একটা খুশি ছিলেন না।
তাদের অভিযোগ ছিল, লি নাকি সিনেমায় প্রাচীন মার্শাল আর্টের অনেক গুপ্ত রহস্য ফাঁস করে দিচ্ছিলেন। মার্শাল আর্টের নামি-দামি এসব শিক্ষা গুরুরা প্রতিনিধি পাঠিয়ে ব্রুস লি-কে সিনেমায় মার্শাল আর্টের সেসব কলাকৌশল দেখানো থেকে বিরত থাকতে বলেন।
কিন্তু ব্রুস লি সেই প্রতিনিধির কথায় আমল দেননি। ঐ প্রতিনিধিও ছিলেন মার্শাল আর্টের একজন অভিজ্ঞ শিক্ষক। তিনি তখন ব্রুসের কাঁধে হাত রেখে প্রয়োগ করেছিলেন ‘দ্য আয়রন ফিস্ট’।
ঐ প্রতিনিধি চলে যাওয়ার কয়েক সপ্তাহ পর থেকেই ব্রুস লির শরীর খারাপ হতে শুরু করে। মার্শাল আর্টের অনেক ছাত্র এবং শিক্ষকের ধারণা আয়রন ফিস্ট বা লৌহ মুষ্টির শিকার হতে হয়েছিল ব্রুসকে।
ব্রুস লির মৃত্যু নিয়ে আরেকটি কাহিনী খুবই প্রচলিত। তার পরিবারের অনেক সদস্যেরই ধারণা তার মৃত্যুর সাথে পরিবারের অভিশাপ জড়িত। এই অভিশাপের শুরু ব্রুসের বাবাকে ঘিরে।
একবার ব্রুস লির বাবা লি হোয়ে চুয়েন কিছু চীনা ব্যবসায়ীকে ক্ষুব্ধ করে তোলেন। চীনা ব্যবসায়ীরা লিকে অভিশাপ দেন এই বলে যে, তাদের পরিবারে যতজন পুরুষ সদস্য জন্ম নেবে, সবাই অকালে মৃত্যুবরণ করবে।
শুরুতে লির পরিবার বিষয়টি গুরুত্ব না দিলেও ব্রুস লির বড় ভাইয়ের জন্মের পরপরই মৃত্যু তাদের বেশ ভাবিয়ে তোলে। অশুভ শক্তিকে ফাঁকি দেওয়ার জন্য ছোটবেলায় লির পিতামাতা তাকে ‘ফান’ (‘ফান’ শব্দটি মেয়েদের নামের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়ে থাকে) নামে ডাকতেন।
কিন্তু এরপরও অশুভ শক্তিকে জয় করা যায়নি। ব্রুস লি ও তার ছেলের অকাল মৃত্যুর জন্য ব্রুসের পরিবারের সদস্যরা এই অভিশাপের কথাই বলেন।
ব্রুস লির মৃত্যু নাড়া দিয়েছিল হংকং থেকে হলিউড পর্যন্ত। এই তরুণ অভিনেতা এবং মার্শাল আর্ট শিল্পীর মৃত্যুর খবরে সারা বিশ্ব জুড়েই শোকের ছায়া নেমে এসেছিল। এভাবে একজন নায়কের মৃত্যু মেনে নিতে পারেনি তার ভক্তকুল। আর তাই শুধুমাত্র তার কফিন দেখার জন্য রাস্তায় জড়ো হয়েছিল হাজার হাজার শোকার্ত মানুষ। দু’জায়গায় ব্রুস লি’র অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন হয়।
আগে হংকং এ এবং পরে সিয়াটেল-এ। দু’জায়গাতেই প্রিয় নায়ককে শেষবারের মতন দেখবার জন্য কমপক্ষে ত্রিশ হাজার লোকের ভিড় হয়। ব্রুস কে কবর দেওয়ার সময় বাজানো হয় ‘দ্য ইম্পসিবল ড্রিম’ এবং ‘মাই ওয়ে’ গান দুটি।
ব্রুস লির মৃত্যুর পরেও তার ছবিগুলো লাখ লাখ ডলার সংগ্রহ করতে সমর্থ হয়েছে। মৃত্যুর আগে তিনি ‘এন্টার দ্য ড্রাগন’ ছবিটি শেষ করে গিয়েছিলেন। এটি ওয়ার্নার ব্রাদার্সের সর্বকালের সেরা একটি হিট ছবি বলে সর্বজনবিদিত।
এবার আসা যাক ব্রুস লির সন্তান ব্রানডন লির মৃত্যু প্রসঙ্গে। বাবার মতোই মাত্র ২৮ বছর বয়সে অকাল মৃত্যু ঘটে ব্রানডনের। অনেকে তার এই মৃত্যুর ঘটনাকে পূর্বলিখিত বলে মনে করেন। আবার অনেকে বলেন পরিকল্পিত।
পারিবারিক অভিশাপের সাথে সাথে ব্র্যানডনের মৃত্যুর পূর্বাভাস দিয়ে গিয়েছিল নাকি ব্রুস লিরই একটি ছবি, যার নাম ‘Game of Death’। ব্রানডনের মৃত্যুর ১৫ বছর আগে নির্মিত এই ছবিতে ব্রুস লির চরিত্রটি ছিল এক অভিনেতার, যেখানে ব্রুস লি একটি ছবিতে অভিনয়ের সুযোগ পেয়েছেন। সেই ছবিতে অভিনয় করতে গিয়ে ভিলেন নায়ককে নকল পিস্তল দিয়ে গুলি করে আঘাত করার কথা। কিন্তু যেকোনোভাবে নকল পিস্তলের পরিবর্তে ভিলেনের কাছে আসল কার্তুজভরা পিস্তল চলে আসে। আর তার গুলিতে নায়কের মৃত্যু হয়। হুবহু একই ঘটনার্ পুনরাবৃত্তি ঘটে ১৫ বছর পর ব্রানডন লির জীবনেই।
ব্রুস লির একমাত্র সন্তান ব্রানডন লি কৈশোরে বাবার মতোই একগুঁয়ে স্বভাবের ছিলেন। দু’বার দুটি হাই স্কুল থেকে তাকে বের করে দেওয়া হয়। ফিল্মে ক্যারিয়ার গড়তে বাবার মতো পথ ধরেছিলেন ব্রানডনও। তাই প্রথমে এশিয়ায় চলে আসেন, পরে আবার ফিরে যান আমেরিকায়।
নব্বইয়ের দশকের প্রথমভাগে ইউনিভার্সাল পিকচার ব্রুস লির জীবনী নিয়ে ‘ড্রাগন দ্য ব্রুস লি স্টোরি’ নামে একটি ছবি নির্মাণ করে। এই ছবিতে ব্রুসের ছেলে ব্রানডন লির অভিনয় করার কথা থাকলেও ২৫ বছরের ব্রানডন তার বাবার ভূমিকায় অভিনয় করতে রাজি হননি।
অবশেষে হাওয়াইয়ান অভিনেতা জেসন স্কট ‘লি’ চরিত্রটিতে অভিনয় করেন।
১৯৯১ সালে ব্রানডনের প্রথম হলিউড ছবি ‘শো ডাউন ইন লিটল কো’ মুক্তি পায়। এই ছবিটি বেশ প্রশংসিত হয়। তখন বিভিন্ন চলচ্চিত্রে অভিনয়ের আরো বেশি সুযোগ পেতে থাকেন ব্রানডন লি।
১৯৯৩ সালে ‘দ্য ক্রো’ নামের একটি বড় বাজেটের ছবিতে অভিনয়ের সুযোগ পান ব্রানডন। ছবির কাহিনী ছিল একজন খুন হয়ে যাওয়া স্টারকে নিয়ে, যিনি অতিপ্রাকৃত শক্তির সাহায্যে পাখি হয়ে ফিরে এসে নিজের এবং বান্ধবীর হত্যার প্রতিশোধ নেবে। কিন্তু এই ছবিটি শেষ হওয়ার আগেই ঘটতে থাকে নানা অদ্ভুত ঘটনা।
একজন টেকনিশিয়ান আগুনে পুড়ে সাঙ্ঘাতিকভাবে আহত হন। দলের অন্য একজনের হাত কেটে যায় স্ক্রু ড্রাইভারে। উত্তর ক্যারোলিনার উইলমিংটনে ছবির শুটিং চলাকালে সেখানে প্রবল শীত পড়তে শুরু করে, সঙ্গে চলতে থাকে ঝড়-বৃষ্টি। ছবিটির যখন শেষ পর্যায়, তখনই ঘটে মারাত্মক সেই দুর্ঘটনা।
শুটিং শেষ হতে আর কয়েকদিন মাত্র বাকি।ব্রানডনকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ার কথা ছিল একটি দৃশ্যে। এসব দৃশ্যে সাধারণত খালি বন্দুক ব্যবহার করা হয়ে থাকে। কিন্তু সেদিন ঐ বন্দুকের পয়েন্ট ৪৪ ক্যালিবার গুলি ভরা ছিল। সেই বুলেট এসে বিদ্ধ করে ব্রানডনকে।
কে বা কারা সত্যিকারের বুলেট ভরে রেখে গিয়েছিল সেই পিস্তলে, তার উত্তর এখনো খুঁজে পাওয়া যায়নি। লস এঞ্জেলসে অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার পর ব্রুসের কবরের পাশেই ব্রানডনকে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়।
ব্রুস লি’র রহস্যময় মৃত্যুর মতোই তার সন্তান ব্রানডনের মৃত্যুও রহস্যের আড়ালেই রয়ে গেলো। আজ পর্যন্ত অনুদঘাটিতই রয়ে গেলো সময়ের সেরা দুই অভিনেতার মৃত্যু রহস্য।
Thanx Indra Da.
ReplyDelete