প্রাচীন ভারতের ধর্মগ্রন্থ গুলি তে দেবরাজ ইন্দ্রের নানা কাহিনী এদিকে ওদিকে ছড়িয়ে আছে , সেখানে ইন্দ্র হলেন অনেক দেবতাদের মধ্যে একজন প্রধান দেবতা । কিন্তু পরবর্তী পুরান গুলিতে প্রাধান্য অনেক খানি খর্ব করা হয়েছে , পৌরাণিক যুগের প্রধান দেবতা হলেন ব্রহ্মা ,বিষ্ণু মহেস্বর।এই সময়কার ইন্দ্র হলেন একজন সাধারন দেবতা , যদিও অন্যান্য ছোট খাট দেবতাদের উপর তিনি কিছুটা প্রভুত্ব খাটাতেন ।
জে সীমিত স্বর্গে তিনি নিজের রাজত্ব চালাতেন তাকে বলাহত দেবলোক বা ইন্দ্রলো ক , অমরাবতী ছিল ঐ স্বর্গের রাজধানী , পুরাণের ইন্দ্র ছিলেন দোষে গুনে এক অদ্ভুত দেবতা , তাঁর অনেক দোষের মধ্যে একটি বড় দোষ ছিল অপরকে ঈর্ষা করা । কথাও কোনও মুনি ঋষি ধ্যানে বসলে তাঁর মনে ভয় ঢুকে জেত,এই বুঝি তাঁর সিংহাসনের একজন দাবিদার এসে গেল , ব্রহ্মা বিষ্ণু মহেস্বর ভক্তদের অনুরোধ সচরাচর ঠেলতেন না , কি জানি তাঁরা যদি কাউকে এমন বর দিয়ে বসেন, যাতে তাঁর হাত থেকে রাজ দণ্ড টি খসে পড়ে ।
এই বইতে ইন্দ্রকে নিয়ে ৪ টি গল্প দেওয়া হয়েছে সেগুলি কিছুটা সতন্ত্র ,এইসব কাহিনীতে তাঁর ধূর্তামি শুধু নয় , একটু উদারতাও প্রকাশ পেয়েছে , দেবরাজ ইন্দ্রই কিন্তু এই চারটি কাহিনীর নায়ক নন , অধিকাংস কাহিনীর প্রধান চরিত্র আমরা অন্যত্র খুঁজে নিতে পারি ।
এই ৪ টি গল্পই মহাভারত থেকে নেওয়া হয়েছে ,গল্পগুলি যুগোপযোগী করে তলার জন্য কিছু সামান্য পরিবর্তন করেছেন ।