ডাউনলোড করুন
গুরুত্বপূর্ণ ... আজকের পোস্ট টি বেতালদের ইতিহাসের জন্য খুবি গুরুত্বপূর্ণ...২৯৭,২৯৮ নং পোস্টে দুটি খণ্ডে এই বই টির প্রধান গল্প প্রকাশিত হয়ে ছিল, এটি পুনপ্রকাশ হয় খণ্ড ২৬ নং ১৭ সংখ্যায় কেটে কুটে একটি বই করে ... এই পোস্ট করতে গিয়ে প্রথমেই ৯ম বেতাল সম্পর্কে কিছু বলতে হয়।
যুগে যুগে বেতালদের অনেক নামে ডাকা হতো... তার মধ্যে একটি নাম 'পূবের আঁধারের রক্ষক' কেন এই নাম ? ফিরে যেতে হবে ২০০ বছর আগে ৯ম বেতালের সময়ে... তিনি ছিলেন উচ্চতায় খর্বকায়,বেটে হলেও অসাধারন দৈহিক শক্তির অধিকারী ছিলেন...একবার একটি গণ্ডার কে জলার পাঁকের মধ্য থেকে পিছনের পা দুটি টেনে উদ্ধার করেন...ও একবার দুটি বাচ্চা ছেলে মেয়ে কে ভাঙা কাঠের সেতু শুদ্ধু টেনে তুলে উদ্ধার করেন... ইনিও কিট জুনিওর নামে পরিচিত ছিলেন ...মূলত তাঁকেই প্রথম 'পূবের আঁধারের রক্ষক' নামকরন করা হয়েছিল। কেন হয়েছিল পরে বলছি...নবম বেতালের গল্প আনন্দমেলায় ধারাবাহিক ভাবে প্রকাশিত হয়ে ছিল... তিনি পরাক্রমী মঙ্গোল সম্রাট ঝাটুন খানের মেয়ে কে অনেক নাটকীয় ঘটনার পর বিবাহ করেন, অসামান্য শক্তিধর মানুষটি খালি হাতে মোটা গাছ উপড়ে ফেলতে পারতেন...বা গরিলা কে এক ঘুষিতে কুপোকাত করতে পারতেন... এবার আসা যাক তাঁর নাম কিভাবে 'পূবের আঁধারের রক্ষক' হোল...
জঙ্গলের পূব দিকে ছিল পূবের আঁধার (হয়তো এখনো আছে ) সেই জায়গার খোঁজ কেউ জানত না, পাহাড়ে ঘেরা এক অজানা রাজত্ব , তাদের দেবতার নাম জাল, জাল নাকি ছিল ঘোরলোভী দেবতা...চাইতো শুধু মানুষ বলি, বিশাল তামার তৈরি দেবতা জাল, পূবের আঁধারের লোকেরা বিশ্বাস করতো যে জালের পেটের আগুন নিভলেই তাদের রাজত্ব শেষ...তাই দেবতার পেটের আগুন দিবা রাত্র জ্বলত, চলতো মানুষ বলি ...তার জন্য গ্রামের আদিবাশী দের ধরে নিয়ে যেত। এই প্রথা শেষ করতে নবম বেতাল সেখানে যান এবং তাঁর প্রচণ্ড দৈহিক শক্তির দ্বারা জালের বিশাল মূর্তি উল্টে ফেলে দেন, তারপর থেকেই যুগে যুগে 'পূবের আঁধারের রক্ষক'বলে বেতালদের নামকরন হয় ।
এই গল্পে আমাদের ২১ তম বেতাল কে দেখা যাবে পূবের আঁধারের চোরাচালানকারী ও মাদক ব্যাবসায়ী দের সাথে লড়াই করতে... এদের বিনাশ নেই...এ লড়াই চলে আসছে বা চলবে আরও কতো দিন কে যানে...
2015 সালে পূজার আগে প্রকাশিত 'কমিক্স ও গ্রাফিক'-১ম খণ্ড পত্রিকায় আমার লেখা থেকেই কিছুটা তুলে ধরলাম...
এই সেই প্রধান গল্পের দুটি খণ্ড যা কিনা অনেক আগেই পোস্ট হয়ে গেছে।