অনেকদিন পরে পোস্ট করছি , বেঁচে রয়েছি... সময়ের অভাবে ব্লগে আসা হচ্ছে না ...এই বই টি আগেই পোস্ট করার কথা ছিল কিন্তু তখনো হাতে আসেনি ,তাই পোস্ট করতেও দেরি হলো ।
পরবর্তী পোস্ট থেকে শুরু হতে চলেছে মহাভারতের সেই 'মেগা' শৃঙ্খলা , বাংলায় ত্রিশ খন্ডে সমাপ্ত হয়েছিল এই 'সিরিজ' ।
দ্বারকানাথ শান্তারাম (অক্টোবর ১০, ১৯১০ – ডিসেম্বর ৯, ১৯৪২) ভারতে পাঁচজন চিকিৎসকে মধ্যে একজন যাঁরা দ্বিতীয় চীন-জাপান যুদ্ধের সময় চীন চিকিৎসা সহায়তার জন্য গেছিলেন। তিনি ভারত ও চীন দুই দেশের সম্পর্ক ও বন্ধুত্বের প্রতীক হিসেবে দুই দেশের মানুষের কাছে সম্মানিত।
প্রথম জীবন
চীন যাত্রার প্রেক্ষাপট
জাপানের চীন আক্রমণের পরে ১৯৩৮ খ্রিষ্টাব্দে চু তে জওহরলাল নেহরুকে ভারত থেকে কয়েকজন
চিকিৎসককে চীনে পাঠাতে অনুরোধ করেন। ১৯৩৮ খ্রিষ্টাব্দের ৩০শে জুন ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের তৎকালীন সভাপতি সুভাষচন্দ্র বসু ভারতবাসীর কাছে এই বিষয়ে আবেদন করেন। এছাড়াও তিনি মডার্ণ রিভিউ পত্রিকায় দূর প্রাচ্যে জাপানের ভূমিকা বিষয়ে এক নিবন্ধ লেখেন। ]সুভাষচন্দ্রের ডাকে সাড়া দিয়ে এলাহাবাদ থেকে মদনমোহন অটল, নাগপুর থেকে এম চোলকর, কলকাতা থেকে দেবেশ মুখোপাধ্যায় ও বিজয় কুমার বসু এবং সোলাপুর থেকে কোটনিস যোগদান করেন ও ১৯৩৮ খ্রিষ্টাব্দের সেপ্টেম্বর মাসে চীনের উদ্দেশ্যে রওনা হন।
চীনে চিকিৎসাকার্য্য
পাঁচজনের এই চিকিৎসক দল চীনের ঊহান শহরের হানকো বন্দরে পদার্পণ করলে তাদের ইয়েনান পাঠিয়ে দেওয়া হয়। সেখানে তাদের অভ্যর্থনা জানান মাও সে তুং, চু তে ও অন্যান্য চীনের কমিউনিস্ট পার্টির শীর্ষ নেতারা। চীন যাওয়ার পরে কোটনিস পিতার মৃত্যুসংবাদ পান কিন্তু কোটনিস সেবার ব্রত পরিত্যাগ করে দেশে ফিরে আসেননি। ১৯৩৯ খ্রিষ্টাব্দে তিনি উটাই পর্বতের নিকটে জিন-চা-জি সীমান্তে মাও সে তুংয়ের নেতৃত্বে থাকা অষ্টম রুট বাহিনীতে যোগদান করেন। কোটনিস যুদ্ধ চলাকালীন অত্যন্ত প্রতিকূল পরিবেশে প্রায় ৮০০ আহত সৈন্যের চিকিৎসা করেন। এই সময়ে কিছুদিন জিন-চা-জি সৈন্য বিভাগে ডঃ বেথুন স্বাস্থ্যবিধি বিদ্যালয়ে স্বাস্থ্য বিষয়ক ভাষণ দিতেন। পরে তাকে ইয়েনানের ডঃ বেথুন আন্তর্জাতিক শান্তি হাসপাতালের ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৫ ডিসেম্বর ২০১৯ তারিখে প্রথম অধিকর্তার দায়িত্ব দেওয়া হয়। পাঁচজনের এই দলের বাকি সদস্যরা মিশন শেষে ভারতে ফিরে যান কিন্তু দ্বারকানাথ কোটনিস আর ফেরেননি। চীনা ভাষা শিখে নেন এবং সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েন।
পরিবার
১৯৪১ খ্রিষ্টাব্দের নভেম্বর মাসে কোটনিস ডঃ বেথুন আন্তর্জাতিক শান্তি হাসপাতালের এক সেবিকা গুয়ো কুইংলানকে বিবাহ করেন। ১৯৪২ খ্রিষ্টাব্দের ২৩শে আগস্ট তাদের এক ছেলের জন্ম হয়। নিয়ে রংঝেনের উপদেশ মতো ভারতের চীনা প্রতিশব্দ ইন) ও চীনের চীনা প্রতিশব্দ হুয়া মিলিয়ে তার নাম রাখা হয় ইনহুয়া।
মৃত্যু
প্রতিকূল যুদ্ধকালীন পরিবেশে প্রতিনিয়ত কাজের দরুন কোটনিসের স্বাস্থ্য ভেঙ্গে পড়ে। ইনহুয়ার জন্মের মাত্র তিন মাস পরেই কোটনিস মৃগীরোগে আক্রান্ত হন। পরপর একটানা খিঁচুনির ফলে ১৯৪২ খ্রিষ্টাব্দের ৯ই ডিসেম্বর কোটনিসের মৃত্যু হয।
চলচ্চিত্রে কোটনিসের জীবন
কোটনিসের জীবন নিয়ে শান্তারাম রাজারাম ভাঙ্কুদ্রের পরিচালনায় ও খ্বাজা আহমেদ আব্বাসের রচনায় ১৯৪৬ খ্রিষ্টাব্দে ডঃ কোটনিস কি অমর কাহিনী নামে একটি হিন্দী চলচ্চিত্র তৈরী হয়. ১৯৮২ খ্রিষ্টাব্দে কে ডি হ্যুয়া দাই ফু নামে এক চীনা চলচিত্রও তার জীবন নিয়ে তৈরি হয়।
তথ্য সূত্র ; উইকিপিডিয়া
খুব ভাল লাগল আপনাকে ফিরে পেয়ে, চালিয়ে যান, ভাল থাকুন
ReplyDeleteআপনিও ভালো থাকবেন , ধন্যবাদ ।
DeleteDADA ONEK DIN PORE,APNI VALO ACHEN TO.ABAR DEKHA PEYE KHUB VALO LAGLO.SATTI KATHA BOLTE APNAKE KHUB MISS KORCHILAM.FIRE ASAR JONNO APNA KE DHANOBAD.
ReplyDeleteইন্টারনেট ব্রাডব্যান্ড ছিলোনা , শরীর ও অসুস্থ ছিল , অমর চিত্র কথা তাড়াতাড়ি শেষ করবার চেষ্টা করছি ।।
Delete