Saturday, August 23, 2025

Post # 1193 Theke Sekhe Habul By Dhiren Ball

                                                                       ডাউনলোড করুন
 

 আজ শ্রী ধীরেন বলের যে কমিকস্‌ টি থাকছে সেটির বৈশিষ্ট্য হলো এটির এক পাতার ৪ টি প্যানেলের মধ্যে ২ টি কমিকস্‌ এ ও ২ টি লেখায় পড়তে হবে ।

 

 ব্রিটিশ ভারতের অধুনা বাংলাদেশের বগুড়া জেলার বারইল গ্রামে ১৯১২ খ্রিস্টাব্দের ২২ জানুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন ধীরেন বল। পিতা নন্দলাল বল এবং মাতা দক্ষবালা বল। ধীরেন বলের শৈশব কেটেছে বগুড়ার গ্রামীণ পরিবেশে। ছোটবেলা থেকেই প্রকৃতির মাঝে ছবি দেখতে ও আঁকতে ভালবাসতেন, মাটির প্রতিমাও গড়তেন। দশ বছর বয়স থেকেই তিনি ‘সন্দেশ’, ’খোকাখুকু’, ‘শিশুসাথী’র গ্রাহক ছিলেন এবং বারো বৎসর বয়স থেকেই বগুড়ার গ্রাম থেকে নানা পত্র-পত্রিকায় লেখা ও ছবি পাঠাতে শুরু করেছিলেন। প্রাথমিক পড়াশোনা শুরু হয় বগুড়ার করোনেশন স্কুলে। ১৯২৭ খ্রিস্টাব্দে বিদ্যালয়ের পাঠ শেষে ভর্তি হন রংপুরের কারমাইকেল কলেজে ১৯৩১ খ্রিস্টাব্দে বি.এ. পাশের পর চলে আসেন কলকাতায়। গভর্নমেন্ট কলেজ অব আর্ট অ্যান্ড ক্র্যাফট থেকে তিন বৎসরের কমার্শিয়াল আর্টে শিক্ষা লাভ করেন।

 শিক্ষা শেষে গ্রন্থ চিত্রণ শিল্পীরূপে কর্মজীবন শুরু করেন। তবে শিল্পী জীবনে তিনি মাত্র একবারই ১৯৪৫ খ্রিস্টাব্দে মুম্বইতে প্রদর্শনীতে ছবি পাঠিয়েছেন - বর্মাশেল কর্তৃক আয়োজিত আর্টস ইন ইন্ড্রাস্ট্রিতে। বাইশজন প্রতিযোগীর মধ্যে তার তিনটি ছবি পুরস্কৃত হয়। ১৯৩৮ খ্রিস্টাব্দে তিনি ভারত সরকারের প্রচার বিভাগের শিল্পী হিসাবে সিমলা যান এবং সেখানে অবস্থানকালে তিনি দুর্গা ও সরস্বতীর মাটির প্রতিমা গড়েন এবং সেই মৃন্ময়ী প্রতিমা সেখানে প্রথম পূজিত হয়। পরে তিনি সরকারি চাকরি ছেড়ে কলকাতায় চলে আসেন এবং বিভিন্ন সংবাদপত্রের বিজ্ঞাপন বিভাগে চিত্রশিল্পী হিসেবে কাজ করতে থাকেন। বিজ্ঞাপন জগতের উল্লেখযোগ্য
কাজগুলি ছিল- কোকোলা, হিমানী, আমলা, হিমকলন্যাস, ভিভিগ্যান, নিম সাবান ইত্যাদি। পরবর্তীতে ১৯৪০ খ্রিস্টাব্দে বিমল ঘোষ তাকে আনন্দবাজার পত্রিকা গোষ্ঠীর আনন্দমেলায় নিয়ে আসেন। বিমল ঘোষ তথা মৌমাছি রচিত


'চেঙাবেঙা'র চিত্রাঙ্কন এবং তার সচিত্র 'ঠেকে হাবুল শেখে' আনন্দমেলায় নিয়মিত প্রকাশিত হয়। কলকাতার যুগান্তরের ছোটদের পাততাড়ি সঙ্গে তিনি দীর্ঘদিন যুক্ত ছিলেন। শিশু ও কিশোর সাহিত্য-চিত্রণের জন্য পরিচিত হলেও, গল্প-উপন্যাসে ছবি, সাহিত্য পত্রিকা দেশ সহ বড়দের অনেক বইও তিনি চিত্রাঙ্কিত করেন। ছোটদের চিত্রাঙ্কন শেখানোর জন্য প্রায় পনেরোটি বই সহ পঞ্চাশটির ও বেশি গ্রন্থ রচনা করেছেন তিনি। তার প্রথম গ্রন্থ তোলপাড় প্রকাশিত হয় ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দে। অন্যান্য উল্লেখযোগ্য গ্রন্থগুলি হল -

 

 

তুতুভূতু ( ইংরাজী ও হিন্দিতে অনূদিত হয়েছে)




ঠেকে হাবুল শেখে (১৯৫৭)
দেখে হাবুল শেখে

কাড়াকাড়ি (১৯৫৭)
মজার দেশে মানু
ছড়ায় ভরা গ্রাম (১৯৬২)
টুকরো হাসি
জমজমাট (১৯৫৬)
হাস্যকর (১৯৭৩)
টাইটুম্বুর (১৯৭১)


দেখে এলাম ভারত
দেখে এলাম কলকাতা
এই বাংলার মেয়ে
সম্মাননা


বৃন্দাবন ধর বুক হাউস ১৯৫২


শিশুসাহিত্যের বইয়ের মূল্যায়নের জন্য শেষের দিকে বেশ কয়েক বার তিনি রাষ্ট্রীয় শৈক্ষিক অনুসন্ধান এবং প্রশিক্ষণ পরিষদের তথা এন.সি.ই.আর.টি-র পুরস্কারের বিচারক হয়েছিলেন।



ধীরেন বল ১৯৫২ খ্রিস্টাব্দে মুর্শিদাবাদ জেলার রঘুনাথগঞ্জের এক সাবজজের কন্যা প্রতিমাকে বিবাহ করেন। তাদের চার পুত্র ও দুই কন্যা। তিনি কলকাতার কলেজ স্ট্রিটে দক্ষভারতী নামে এক প্রকাশনা সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। পরবর্তীতে তার এক পুত্র কৌশিক বল এটির দেখাশোনার ভার নেন। তার এক কন্যা পৃথা বল একজন শিশুসাহিত্যিক। তিনি পিতার মৃত্যুর পর ১৯৯৪ খ্রিস্টাব্দে 'ধীরেন বল পুস্তকালয়' প্রতিষ্ঠা করে পিতার রচিত পুরনো গ্রন্থগুলির পুনঃপ্রকাশের ব্যবস্থা করেন।
১৯৯২ খ্রিস্টাব্দের ৩ জানুয়ারি ধীরেন বল কলকাতায় প্রয়াত হন।
 "মৌমাছি' তথা বিমল ঘোষের লেখা চেঙাবেঙা বইটিতে চিত্রাঙ্কনের জন্য তিনি ভারত সরকার কর্তৃক পুরস্কৃত হন এবং ওয়াল্ট ডিজনি অব বেঙ্গল নামে ভূষিত হন। এছাড়াও তিনি
ভুবনেশ্বরী পদক, মৌমাছি পুরস্কার, শিশু সাহিত্য পরিষদ পুরস্কার ( টাইটুম্বুর এর জন্য) রঞ্জিত স্মৃতি পদক সহ বহু পুরস্কার লাভ করেছেন। ছোটদের জনপ্রিয় এই চিত্রশিল্পীর সাক্ষাত পাওয়ার পর স্বনামধন্য লেখিকা লীলা মজুমদার ১৯৯১ খ্রিস্টাব্দের ২০ ডিসেম্বর ছোট্ট এক চিঠিতে লেখেন-
"আমাদের বন্ধু ধীরেন বলের মতো চিত্রশিল্পী আমাদের দেশে কম জন্মেছেন। ছোটদের জন্য আঁকা ছবি যেন লাফায়-ঝাঁপায়, মনকে নাড়া দেয়। ধন্য তাঁর তুলি-কলম। কেবলি আমার দাদা সুকুমার রায়ের ছবির কথা মনে পড়িয়ে দেয়। নামকরা শিল্পী আমাদের চিত্রজগতে অনেক দেখা দিয়েছেন। কিন্তু ছোটদের মনের ছাড়পত্র পেয়েছেন মাত্র দু-চার জনা। ধীরেন বলের দর্শন পেয়েছি। আমার সৌভাগ্য। তাঁর মঙ্গল হক।"




                                                                                                      







Friday, August 22, 2025

Post # 1192 Fokiser Atonko By Alok Sankar Moitra

                                                                            ডাউনলোড করুন
  ৮০ দশকের একটি পক্ষীরাজ পত্রিকায় এই কমিকস্‌ টি প্রকাশিত হয়ে ছিল ,কমিকস্‌ এর পাতা গুলি ছিঁড়ে রেখে  দিয়ে ছিলাম ,এখন আর বইটা নেই , কমিকস্‌ এর পাতা গুলি রয়ে গেছে । কতো সালের  পক্ষীরাজ এটি কেউ জানালে ভীষণ উপকৃত হবো ।     

***********************************************************************************   ইন্দ্রজাল কমিকস্‌ নতুন করে পি ডি এফ আপলোড করার কাজ চলছে...০০১-২০০ অবধি সমস্ত বইএর লিংক আপ করে দেওয়া হয়েছে, যদি কোন লিংক কাজ না করে তবে শেষ পোষ্টে কমেন্ট করে জানান, এর মধ্যে ১৫১-২০০ লেবেলের ১৫৩,১৫৬,১৬৩,১৬৭,১৭২,১৭৫,১৭৬,১৭৭,১৭৮,১৭৯,১৮০,১৮১,১৮৩,১৮৪,১৮৬,১৮৭,১৯০,  ১৯২,১৯৩,১৯৪,১৯৫,১৯৭,১৯৯,২০০ এই বই গুলি দেওয়া হয়েছে ।   


                                                        

Thursday, August 21, 2025

Post # 1191 Dikbijoyir Joy yatra by Shivsankar

                                                                           ডাউনলোড করুন
        

দিগ্বিজয়ীর জয়যাত্রা একটি শিশু কিশোর পত্রিকায় কার্ত্তিক ১৩৬৮ থেকে শিল্পী শিবশংকর ভট্টাচার্য 


  শুরু করে ছিলেন , এ ছাড়াও ছোটদের বিবেকানন্দ কমিকস্‌ টি যখন পত্রিকায় পাতায় ধারাবাহিক ভাবে প্রকাশিত হয় তখন প্রথম ৮ পাতা শিল্পী শিবশংকর করে ছিলেন ,আশ্চর্যের বিশয় এই কমিকস্‌ টি যখন বই আকারে প্রকাশিত হয় তখন শিল্পী নারায়ণ দেবনাথ ঐ ৮ পাতা ও অলংকরণ নতুন রুপে করে দিয়েছিলেন ।

                                                        



Wednesday, August 20, 2025

Post # 1190 Puber Akash Lal By Saila Chakraborty

                                                                      ডাউনলোড করুন
                             

 আজ বিখ্যাত শিল্পী শৈল চক্রবর্তীর করা বাংলাদেশের মুক্তি যুদ্ধর উপর একটি কমিকস্‌ থাকলো ।

শৈল চক্রবর্তীর জন্ম ব্রিটিশ ভারতের অধুনা পশ্চিমবঙ্গের হাওড়া জেলার আন্দুল মৌরিগ্রামে। পিতা উদয়নারায়ণ চক্রবর্তী ছিলেন আন্দুল হাইস্কুলের শিক্ষক। মাতার নাম রানি চক্রবর্তী। আন্দুল হাই স্কুল থেকে ম্যাট্রিক ও হাওড়ার নরসিংহ কলেজ থেকে গণিতে অনার্স সহ বি.এসসি পাশ করেন। কোন আর্ট স্কুল বা কলেজে ভর্তি না হয়ে নিজের চেষ্টায় শিল্পকলায় স্বশিক্ষিত হয়ে ওঠেন তিনি।

জন্ম

৯ ফেব্রুয়ারি ১৯০৯

আন্দুল-মৌরিগ্রাম হাওড়া, পশ্চিমবঙ্গ

মৃত্যু

১৪ অক্টোবর ১৯৮৯ (বয়স ৮০)


পড়াশোনা শেষ করে বাড়িতে প্রসাধন তৈরির একটা ছোট কারখানা বানিয়ে সাবান,আলতা, সিঁদুর তৈরি করে বাড়ি-বাড়ি বিক্রি করতেন প্রথমদিকে। কিন্তু তার সে ব্যবসা চলেনি। কলেজে পড়ার সময় থেকে কলকাতার পত্রপত্রিকা এবং লেখক শিল্পীদের সাথে তার  যোগাযোগ গড়ে উঠেছিল। বন্ধু হিসাবে পেয়েছিলেন পরিমল গোস্বামী, সমর দে এবং প্রমথ সমাদ্দারকে। তাঁদের সাহচর্যে 'সচিত্র ভারত','যষ্টি মধু','যুগান্তর' প্রভৃতি পত্রিকায় তার আঁকা চিত্র প্রকাশিত হয় এবং অল্পদিনের মধ্যেই রসিকজনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। দৈনিক বসুমতীর   রবিবারের পাতায় শিবরাম চক্রবর্তীর কলম 'বাঁকা চোখে' তে তার কার্টুন ছিল পত্রিকার বড়ো আকর্ষণ। অমৃতবাজার, যুগান্তর, অমৃতবাজার, বসুমতী প্রভৃতি পত্রিকার সাময়িকী ও বিশেষ সংখ্যাগুলিতে দীর্ঘদিন ধরে ইলাসট্রেশনের কাজ করেছেন ফ্রিল্যান্সার হিসাবে। তিনিই একমাত্র শিল্পী যিনি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জীবদ্দশায় তার গল্পের - "ল্যাবরেটরি" র  ইলাসট্রেশন করেন। ১৩৪৭ বঙ্গাব্দের শারদীয়া আনন্দবাজার পত্রিকায় সেটি প্রকাশিত হয়েছিল। রবীন্দ্রনাথের আর একটি গল্প প্রগতি সংহার’-এরও ইলাসট্রেশন


করেছিলেন তিনি । এছাড়াও সত্যজিৎ রায়ের প্রথম মুদ্রিত গল্প - 'বর্ণান্ধ'   ছবিও এঁকেছিলেন তিনি। শিবরাম চক্রবর্তীর বিভিন্ন গ্রন্থের অজস্র চরিত্রের চিত্রকর ছিলেন তিনি। শৈল চক্রবর্তীর তুলিতে

শিবরাম চক্রবর্তীর সৃষ্ট চরিত্র
'গোবর্ধন' 'শিবরাম' ছবিতে এসেছে। অমৃতবাজার পত্রিকায় "Alias" নামে দীর্ঘদিন রবিবারের পাতায় 'কমিক স্ট্রিপ' পরিবেশ করেছেন। এতেই দেশি গল্প নিয়ে 'কমিক স্ট্রিপ' রচনার সম্ভাবনার পথ তিনিই দেখিয়েছিলেন। তার 'লিটিল ডাক' ছাড়াও স্ট্রিপ 'ডাকু সিরিজ' বেশ জনপ্রিয় হয়েছিল। আনুষ্ঠানিক শিল্পের পাঠ তার না থাকলেও তিনি তার পর্যবেক্ষণ শক্তি অর্থাৎ অবজারভেশন পাওয়ারের গুণে সুদীর্ঘকাল ব্যঙ্গচিত্র এঁকে গেছেন। এরপর তিনি কাহিনি সচিত্রকরণের কাজে হাত দেন। পুস্তক অলংকরণে তিনি দক্ষ ছিলেন। মধ্য যৌবনে ভাস্কর্যে আকৃষ্ট হয়েছিলেন। রীতিমতো তালিম নিয়ে মূর্তি গড়া শিখেছিলেন। পুতুল তৈরি করে তাদের নিয়ে নাটক রচনা শুরু করেন এবং গড়ে তোলেন সংস্থা 'পুতুলরঙ্গম'। এর মাধ্যমে পুতুলনাটিকা মঞ্চস্থ করা শুরু করেন। একসময় তিনি বেঙ্গল গভর্নমেন্টের ডাইরেক্টরেট অব  পাবলিক ইনফরমেশন বিভাগের আর্টিস্ট হিসাবে

কাজ করেছেন। লেখক হিসাবেও তিনি কৃতি ছিলেন।
'যুগান্তর' পত্রিকায় তার মজাদার লেখা সায়েন্স ফিকশন প্রকাশিত হয়েছে। সেগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল -

 'মানুষ এল কোথা থেকে'

'গাড়িঘোড়ার গল্প'

'ছোটদের ক্রাফ্ট'


তার রচিত গ্রন্থের সংখ্যা প্রায় পঁচিশ। উল্লেখযোগ্য গ্রন্থগুলির হল -

'বেজায় হাসি

চিন্তাশীল বাঘ

ঘটোৎকচ বিজয়

স্বর্গের সন্ধানে মানুষ

কার্টুন

কৌতুক

যাদের বিয়ে হল

যাদের বিয়ে হবে

আজব বিজ্ঞান

চিত্রে বুদ্ধজীবন কথা

বেলুন রাজার দেশে

'গল্পকথার দেশে'


কালোপাখি

টুলটুলির দেশে

কৃপণের পরিণাম

শেষ বয়সে তিনি জল ও তেল রং কে নিয়ে পেন্টিংয়ের দিকে ঝুঁকেছিলেন এবং এই সময় তার বিষয় ছিল প্রকৃতি। ছবি নিয়ে বিদেশে গেছেন দুবার তার একক প্রদর্শনীর জন্য। ১৯৭৬ খ্রিস্টাব্দে ব্রাজিলের রিও-ডি-জেনেরো তে এবং ১৯৮৫ খ্রিস্টাব্দে আমেরিকার নিউ জার্সি তে।

ছোটদের ক্রাফট' বইটির জন্য শৈল চক্রবর্তী শিশু সাহিত্যে ভারত সরকারের রাষ্ট্রীয় পুরস্কার লাভ করেন।